মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চা-শ্রমিক, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্টি ও দু:স্থদের মধ্যে ক্লিবডন চা-বাগানের টাকা প্রাপ্ত ১৩ জন চা-শ্রমিকের ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রতিজনের কাছ থেকে ৪ হাজার করে মোট ৫২ হাজার নগদ টাকা আত্মসাৎত করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা জয়চন্ডি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ অমল রাজ প্রধান মুন্নাসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৯মার্চ রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্য়ালয়ের একান্ত সচিব, স্বরাষ্ট মন্ত্রালয় সচিব, মহা পরিচালক দুর্নীতি দমন বিভাগ, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, অফিসার ইনচার্জ কুলাউড়া থানা ও সমাজসেবা অধিদপ্তর কুলাউড়া বরাবরে আবেদন প্রেরন করা হয়।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৫ মার্চ জয়চন্ডি ইউনিয়নের চা-শ্রমিক প্রেমলাল বুর্নার্জী, জয়মোহন. রামধারী ও সুবাস নায়েকসহ ১৩জন চা-শ্রমিকরা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রানালয়ের অধীনে জাতীয় সমাজকল্যান পরিষদ কর্তৃক কুলাউড়া জনমিলন কেন্দ্র থেকে জেলা প্রশাসকের হাত থেকে জনপ্রতি শ্রমিক ৫ হাজার করে ৬৫ হাজার টাকা গ্রহন করে ঐদিন বিকেল বেলায় বাগানে রওযানা দেবার মূর্হুত্তে শহরের মিলিপ্লাজার সম্মুখে জয়চন্ডি ইউনিয়নের ৫নং ওর্য়াডের ক্লিবডন চা-বাগান গ্রাম পুলিশ অমল রাজ প্রধান মুন্না ১৩ জন শ্রমিককে একত্রিত করে বলেন প্রত্যেককে ১ হাজার রেখে বাকী ৪ হাজার টাকা ফেরত দিতে চা-শ্রমিকদেরকে নানান ভয় ভির্তি দেখাতে থাকে।এ সময় গ্রাম পুলিশের সঙ্গে আরো ৪/৫জন অজ্ঞাত লোক ছিল বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেছে। পরে ১৩ শ্রমিকরা ৪ হাজার টাকা করে নগদ ৫২ হাজার টাকা গ্রাম পুলিশের কাছে ফেরত দিয়ে দেয়। অভিযুক্ত গ্রামপুলিশ অমল রাজ প্রধান মুন্নার সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাা গ্রহন করে গ্রাম পুলিশ অমল রাজ প্রধান মুন্না ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে তাদের ন্যাায্য টাকা উদ্ধার করে ফেরত প্রদান করতে সুশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন ।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ কুলাউড়ায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রানালয়ের অধীনে জাতীয় সমাজকল্যান পরিষদ কর্তৃক চা-শ্রমিক, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্টি ও দু:স্থদের মাঝে আর্থিক অনুদান হিসেবে উপজেলার পুথিমপাশা বরমচাল, ভাটেরা, ব্রাম্মনবাজার, টিলাগাও, শরীফপুর, কর্মধা ও জযচন্ডি ইউনিয়নের বিভিন্ন চা-বাগানের ১৬২ জন চা-শ্রমিককে ৫ হাজার টাকা করে ৮ লাখ ১০ হাজার ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্টি ২৫ জনকে ৫ হাজার করে ১ লাখ ২৫ হাজার সহ মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় ।এ সময় কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে জনমিলন কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক অনুদানের চেকের টাকা বিতরন অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজর জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহানারা বেগমসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চা-শ্রমিক, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্টি উপস্থিত ছিলেন ।