ads

সোমবার , ১০ মার্চ ২০১৪ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কুমিল্লা ৬ উপজেলার ৭৮ প্রার্থী : সংঘাতময় হয়ে উঠছে বিভিন্ন উপজেলায়

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মার্চ ১০, ২০১৪ ৪:২০ অপরাহ্ণ

Comilla mapতাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কুমিল­ার ৬ উপজেলায় ৭৮ প্রার্থী নিজেদের প্রতীক নিয়ে ইমেজ লড়াইয়ে জোরেশোরে প্রচারণায় নেমেছেন। মাঠে রয়েছেন ১৯ দলীয় ও ১৪ দলীয় জোটের সমর্থিত এবং বিদ্রোহীসহ ৭৮ প্রার্থী। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয়ভাবে দফায় দফায় বৈঠক করেও সমাধানে পৌঁছতে না পারায় তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ দলীয় প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাচ্ছে কুমিল­ার বুড়িচং, ব্রা²ণপাড়া, নাঙ্গলকোট, হোমনা, তিতাস ও চৌদ্দগ্রামের ৬ উপজেলায় মোট ৭৮ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ৬ উপজেলায় বিএনপি এবং আওয়ামীলীগে ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী এর মধ্যে ৯জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এছাড়া ৩০জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। ইতোমধ্যে কুমিল­ার নাঙ্গলকোট, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ায় আওয়ামীলীগ এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন (আনারস), মিজানুর রহমান (টেলিফোন), আখলাক হায়দার (দোয়াত-কলম) ও সফিকুল আলম অরুন (মটোরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামাল হোসেন (টিউবওয়েল), মতিউর রহমান (তালা), শাহজাদা রনি (মাইক), গোলাম বায়জিদ (টিয়া পাখি), শাহ আলম (চশমা), জসিম উদ্দিন (বই), সাইফুল আলম (উড়োজাহাজ) এবং মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে সামছুন্নাহার (হাঁস), ফারজানা বেগম (কলস), নাদেরা পারভীন (প্রজাপতি), কানিজ আয়শা (হাঁস) প্রতীক নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ৪ মার্চ রাতে উপজেলার আজ্ঞাপুরে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আখলাক হায়দার ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে পোস্টার ছেড়া নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে ফকিরবাজারে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আখলাক হায়দারের নির্বাচনী অফিস আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আবুল কালাম ইদ্রিস (মোটরসাইকেল), জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী (আনারস), জিয়া-উল হাসান (হেলিকপ্টার), আবু তাহের (দোয়াত-কলম), জসিম উদ্দিন (কাপ-পিরিচ), সামছুল আলম (টেলিফোন) এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবিদ মিয়া (টিউবওয়েল), জসিম উদ্দিন (টিয়া পাখি), শাহজালাল (জড়োজাহাজ), সুলতান আহমেদ (চশমা), নাজমূল ইসলাম (তালা), মিজানুর রহমান (মাইক) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা বেগম (কলস), তাহমিনা হক (হাঁস) প্রতীক নিয়ে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। গণসংযোগের মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী ও বিদ্রোহী আলহাজ্ব আবু তাহেরের সমর্থকদের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
হোমনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আজিজুর রহমান মোল­া (মোটরসাইকেল), জহিরুল হক (আনারস), রেহেনা বেগম (দোয়াত-কলম), সহিদুল­াহ (ঘোড়া), রোস্তম আলম (কাপ-পিরিচ) এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরুজ্জামান (টিয়া পাখি), ফজলুল হক মোল­া (টিউবওয়েল), মাজেদুল ইসলাম (চশমা), নজরুল ইসলাম (তালা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেফালী আক্তার (কলস), শাহিনুর রহমান (হাঁস), মিনোয়ারা বেগম (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে মাঠে ময়দানে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিতাস উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনোয়ার হোসেন (দোয়াত-কলম), পারভেজ হোসেন সরকার (চিংড়ি), নাছির আলম (আনারস), নূরুন্নাহার বেগম (কাপ-পিরিচ), সালাউদ্দিন সরকার (ঘোড়া), আব্দুল হান্নান (মটোরসাইকেল) এবং  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল লতিফ সরকার (উড়োজাহাজ), এস.এম রিয়াজ (চশমা), শাহিনুল ইসলাম (মাইক), ছবির হোসেন (বৈদ্যুতিক বাল্ব), জহিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল), আতিকুর রহমান (বই), কাউসার আহমেদ (তালা), সামছুল হক মোল­া (টিয়া পাখি) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছালেহা খাতুন (হাঁস), সোনিয়া পারভীন (ফুটবল), আসরা বেগম (পদ্মফুল), সামিয়া ফুলতানা (কলস), সাকিলা পারভীন (প্রজাপতি) প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুস সোবহান ভূইয়া (আনারস), ঈমাম উদ্দিন মজুমদার (কাপ-পিরিচ), কামরুল হুদা (দোয়াত-কলম), নূর আহাম্মদ (ঘোড়া) এবং  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ.ন.ম ছলিম উল­াহ (মাইক), নূরুল ইসলাম (টিয়াপাখি), সাহাব উদ্দিন (তালা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাসেদা বেগম (প্রজাপতি) রাহেলা বেগম (কলস) প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা রয়েছেন।
চৌদ্দগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামরুল হুদার ব্যবহৃত গাড়িসহ ৮টি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করেছে সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা। এতে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার কাশিনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বিএনপি সমর্থিতরা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিয়া বাজার আ’লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুস ছোবহান ভূঁইয়া হাসানের নিবার্চনী অফিস ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামরুল হুদার জানান, গণসংযোগের এক পর্যায়ে কাশিনগর বাজারে সরকার দলীয় সমর্থকরা আমার গাড়িসহ বহরে থাকা ৮টি গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে। এতে আমাদের ১০ কর্মী আহত হয়েছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নাজমূল হাসান (দোয়াত-কলম), সামছুদ্দিন কালু (আনারস), নজির আহাম্মদ (মটোরসাইকেল) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। ওই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে এস.এম. মহিউদ্দিন (তালা), ইউছুফ ভূইয়া (বই) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সালেহা বেগম (কলস), কুলছুম আক্তার (হাঁস), নাছরিন আক্তার (ফুটবল) ও রোকেয়া আক্তার প্রজাপতি প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী (বিদ্রোহী)  নাজমূল হাছান বাছির ভুঁইয়া বলেন, আমার বিজয়ের সম্ভাবনা দেখে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলে দাবিকারী সামছুউদ্দিন কালু তার বাহিনী এবং নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলামকে দিয়ে আমার নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে। এছাড়া আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে তার প্রচার মাইক, গাড়ি ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!