নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা বেশ তুঙ্গে উঠেছে। প্রার্থীরা তাদের স্ব স্ব প্রতিকের পোষ্টার ঝুলানো, লিফলেট বিতরন, পথসভা গণসংযোগে নির্ঘুম দিনাতিপাত করে যাচ্ছেন। চলছে তাদের পক্ষে মাইকিং। জয়ের মালা গলায় নিতে তারা যেন ভোট সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ভোটাদের নিকট ভোট প্রার্থনা সহ দোয়া কামনা করছেন। বলছেন সেবা করার সুযোগ দিন। এদিকে ভোটারদের মাঝেও শুরু হয়েছে ভোট নিয়ে হিসাবের বিবরন। তারা হিসাব করছেন কোন প্রার্থী কত ভোট পেতে পারেন। কার ভোটের মাঠ ভাল আর কার মাঠ খারাপ। কোন প্রার্থী কোন এলাকায় কিরকম ভোট পেতে পারেন তা নিয়ে। যে ভোটার যে দলের সমর্থন করেন তার ভোটই প্রচুর আছে বলে দাবী করে থাকছেন। এসব নিয়ে সর্বত্রই চলছে আলোচনা সমালোচনা। তবে কোন প্রার্থীর সাথে কোন প্রার্থীর প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে তা নির্ধারন করা ভোটারদের মাঝে হিসাবের মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা )পদে ৫ জন ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। চেয়ারম্যান পদে আঃ লতিফ(দোয়াত কলম) ইউ,পি চেয়ারম্যান হিসাবে একটানা ৩৭ বছর অতিবাহিত করেছেন। তার পক্ষে সমর্থন জানিয়ে মাঠে নেমেছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীর মালিক দেলোয়ার হোসেন। এদিকে তাকে আওয়ামীলীগ সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে জেলা আওয়ামীলীগ দল থেকে বহিস্কার করেছেন। আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে মাঠে নেমেছেন থানা আওয়ামীলীগের সাঃ সম্পাদক আতাউর রহমান(আনারস)। দলীয় ভাবে তিনি তার নেতা কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে জয়ের প্রত্যাশায় গ্রাম গ্রামান্তরে ভোটারদের নিকট ঘুরছেন। বি এন পি’র একক প্রার্থী হিসাবে জোর প্রচারনায় রয়েছেন থানা বি এন পি’র সাঃ সম্পাদক ও সাবেক ইউ,পি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম (ঘোড়া)। ভোট প্রার্থনায় ঘুরছেন জামায়াতের থানা আমির নুরে আলম সিদ্দিক( হেলিকপ্টার)। যুব সমাজকে চাঙ্গা করে তাদের সাথে নিয়ে মাঠে আছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিজামুল হাসান শিশির( টেলিফোন)। তাকেও জেলা আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে দল থেকে বহিস্কার করেছেন। দল থেকে বহিস্কৃত হওয়া অপর এক প্রার্থী আঃ মতিন(মটর সাইকেল) তিনিও বসে নেই। প্রচারে আছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কামরুজ্জামান(কাপ পিরিচ)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে বহিস্কৃত ও গতবারের নির্বাচিত শাহ মোঃ আলমগীর হোসেন(তালা), খলিলুর রহমান(চশমা), ডাঃ মোশারফ হোসেন(মাইক), শাহিনুর ইসলাম(উড়োজাহাজ) ও হেলাল উদ্দীন( টিউব ওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে বহিস্কৃত ও গুবারের নির্বাচিত শেফালী বেগম রেখা (প্রজাপতি), রিনা বেগম (হাঁস), লিপি বেগম (কলস), পারুল বেগম ( বৈদ্যুতিক পাখা) ও শিরিন আকতার ( গোলাপ ফুল) নিয়ে প্রচারনায় রয়েছেন। জয়ের মালা কার গলায় উঠবে তা আগামী ১৫ মার্চ নির্বাচনে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৯ জন ভোটার ভোট দানের মধ্যে দিয়েই জানিয়ে দিবেন।