শ্যামলবাংলা স্পোর্টস : জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পুরোপুরি ভিন্ন রূপে দেখা গেল বার্সেলোনার দুই তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি ও নেইমারকে। একদিকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন নেইমার। তাঁর হ্যাটট্রিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্রাজিল পেয়েছে ৫-০ গোলের বড় জয়। অপরদিকে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী হাতে চড়িয়ে পুরো ম্যাচেই একেবারে নিষ্প্রভ হয়ে ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ পর মাঠে বমিও করেছিলেন। তাঁর দলও জয় পায়নি রোমানিয়ার বিপক্ষে। মাঠ ছেড়েছে গোলশূন্য ড্র করে।
নিজেদের মাটিতে আয়োজিত বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের কোন চেষ্টাই যে ব্রাজিল বাদ দেবে না, সেটার মহড়াই যেন দিলেন নেইমার-অস্কাররা। ১০ মিনিটের মাথায় দলের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন অস্কার। ৪১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষের পর দ্বিতীয়ার্ধে যেন আরও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল সেলেসাওরা। ৪৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেন নেইমার। কিন্তু তখনও গোলক্ষুধা মেটেনি ব্রাজিলের। ৭৯ মিনিটে দূরপাল্লার এক শট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জালে বল জড়িয়ে দেন ফার্নানদিনহো। শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে আরেকটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিকটাও পূর্ণ করে ফেলেন নেইমার। ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে নেওয়ার জন্য ব্রাজিল যে পুরোপুরি প্রস্তুত, সেটা ম্যাচ শেষে সবাইকে স্মরণও করিয়ে দিয়েছেন থিয়াগো সিলভা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই। এই জয়টা আমাদের অনেক উজ্জীবিত করেছে। এখন আমরা বাকি ৩ মাস কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারব।’
ব্রাজিলের ঠিক উল্টো চিত্র আর্জেন্টাইন শিবিরে। প্রায় পূর্ণ শক্তির একটা দল নিয়েই রোমানিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। দলে ছিলেন আক্রমণভাগের ৩ প্রধান সেনানী মেসি, সার্জিও অ্যাগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুয়েইন। মাচেরানো, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াদের নিয়ে গড়া মাঝমাঠটাও ছিল শক্তিশালী। তার পরও প্রতিপক্ষের জালে একবারও বল জড়াতে পারেননি আলেসান্দ্রো সাবেলার শিষ্যরা। বিশ্বকাপ মিশন নিয়ে কিছুটা চিন্তাতেই পড়ে যেতে হবে আর্জেন্টাইন কোচকে; এতে কোন সন্দেহ নেই।