মোঃ গোলাম রব্বানী, পাইকগাছা (খুলনা) : খুলনার পাইকগাছায় তৃতীয় দফার ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একাধিক প্রার্থীর কারনে বিপাকে রয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত মনোনিত প্রার্থীরা। অপরদিকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে রয়েছে আ’লীগ মনোনিত একক প্রার্থী। নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে এসে বিপাকে থাকা একাধিক প্রার্থী সংকট নিরসনে ১৯ দলীয় জোটের জেলা নেতৃবৃন্দ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জোটসুত্র জানিয়েছে। সুত্রমতে-হরিঢালী, কপিলমুনি, লতা, দেলুটি, সোলাদানা, লস্কর, গদাইপুর, রাড়–লী, চাঁদখালী ও গড়ইখালীসহ ১০ টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে জেলার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ হযরত আলী জানান গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় ৬৯ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩, যার মধ্যে পুরুষ ৯৩ হাজার ৪৬৬ ও মহিলা ৯২ হাজার ১৩৭। আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতিব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানপদে (হাঁস) প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি মনোনিত বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন। (পদ্মফুল) প্রতিকে নিয়ে লড়াই করছেন আ’লীগের একক প্রার্থী ইউপি সদস্য দীপ্তি চক্রবর্তী। (কলস) প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করছেন জামায়াত মনোনিত শিক্ষক শাহানারা খাতুন। (ফুটবল) প্রতিকে রয়েছেন ওয়ার্কাস পার্টি মনোনিত প্রধান শিক্ষক মাছুমা খাতুন। এদিকে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় একাধিক প্রার্থীর কারনে বিপাকে রয়েছেন ১৯ দলীয় জোট প্রার্থীরা।
উলেখ্য চেয়ারম্যানপদে জোটের একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হলেও দু’ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ-মহিলা) পদে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে ব্যার্থ হয় জোট নেতারা। বিএনপি নেতারা রাবেয়া হোসেনকে জোট মনোনিত প্রার্থী দাবী করলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন জামায়াত মনোনিত প্রার্থী শাহানারা খাতুন। ফলে একাধিক প্রার্থীর কারনে বিপাকে রয়েছেন জামায়াত-বিএনপি’র এ দু’প্রার্থী। শেষ মুহুর্তে এসে জোটের জেলা নেতৃবৃন্দ এ সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান। অপরদিকে জামায়াত-বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর কারনে আ’লীগের একক প্রার্থী দীপ্তি চক্রবর্তী সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও তেমন কোন প্রচার-প্রচারণা নেই বলে তৃনমুল নেতাকর্মীরা জানান। শেষ মুহুর্তে ১৯ দলীয় জোটের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হলে আ’লীগ ও জোট মনোনিত প্রার্থীর সংগে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে সাধারণ ভোটাররা জানান।