মেহের আমজাদ, মেহেরপুর : মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী কর্মী মূল্যায়ন সমাবেশে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্জ গোলাম রসুল পরাজিত হওয়ার কারণ হিসেবে নেতা-কর্মীর প্রতারণাকে দায়ী করেছেন। এছাড়া নির্বাচনের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রাশাসক (সার্বিক) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে প্রশাসন নির্বাচন কেন্দ্রে বিভিন্ন ভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছে বলেও অভিযোগ করেন। বুধবার বিকেলে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজিত কর্মী মূল্যায়ন সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি। সমাবেশ থেকে আলমগীর হোসেনকে সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়েছে। তা না হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতাকে দল থেকে বহিস্কারেরও দাবী জানানো হয়েছে।
গোলাম রসুল অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগের মুখোশধারী নেতা-কর্মীরা তাকে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনে হারিয়েছে। নির্বাচনের পূর্বে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রাচরণায় নামলেও প্রতারণা করে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। তাদের প্রত্যেকেরই বিচার করা হবে। স্বাধীনতার পর থেকে যে কেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়নি সে কেন্দ্র গুলোতেও বিএনপি জামায়াতের প্রার্থীরা ভোট বেশি পেয়েছে। এটা কী করে হলো তা খুঁজে বের করতে হবে এবং দায়ীদের বিচার করতে হবে।
গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাড. মিয়াজান আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আশকার আলী, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, আব্দুল হালিম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান ছোট, সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব বিশ্বাস, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফুয়ান আহম্মেদ রুপক, সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, আওয়ামীলীগের মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।