ads

বৃহস্পতিবার , ৬ মার্চ ২০১৪ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঝালকাঠির রাজাপুরের দেশীয় মাছ রক্ষায় চলমান পাইলট প্রকল্প

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মার্চ ৬, ২০১৪ ১:৪৮ অপরাহ্ণ

JHALAKATI -1ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ- মিঠা পানির বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় মাছ রক্ষায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে বেসরকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিস সেন্টারের চলমান পাইলট প্রকল্পে এখন চলছে দেশী মাছ ধরার উৎসব। জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রোগ্রামের আওতায় স্মার্র্ট ফার্ম প্রকল্পের মাছের আবাসস্থলের উন্নয়নে রিং স্থাপন করে এই প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ডফিস সেন্টার দু-বছর পূর্বে এই গ্রামে জরিপ চালিয়ে প্রায় ৪০০ বিঘা জমির একটি প্লটে ১৫০ টি রিং বসিয়ে  প্রকল্পটির কাজ শুরু করেছে। আগামী ৩ বছরের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রকল্পের সফলতার উপর মিঠা পানির অঞ্চলে এই পদ্ধতি স¤প্রসারণের মাধ্যমে দেশীয় মাছের প্রজনন উন্নয়ন করে খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। এই গ্রামের চলাচলের পথে রিং প্রকল্পের একটি প্রদর্শনী রাখা হয়েছে। প্রকল্পভূক্ত ৪০০ বিঘা জমির আইলের প্রত্যেক কোনায় ৫ ফিট গর্ত করে ৪ ফিট গোলাকার ৪ টি রিং বসানো হয়েছে। জমির মালিক এর সুবিধাভোগী। রিং বসানো জায়গায় গরু – ছাগল বা মানুষ  পরে  যাতে দূর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য এর চারিপাশে বেড়া এবং শাক সবজি লাগিয়ে রিংকে নিরাপদ করা হয়েছে। ধান ক্ষেতে পানি থাকায় রিং বসানো স্থানে লাল পতাকা দিয়ে সতর্ক সংকেতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষেতের  পানি কমার সাথে সাথে মিঠা পানির মাছ এসব রিং এর মধ্যে আশ্রয় নেবে।  মাঠ শুকিয়ে গেলে রিং এর মধ্যে থাকা মাছ পানি নষ্ট হওয়ার আগেই সুবিধা ভোগীরা ধরে ডিমওয়ালা মাছ নিজেদের পুকুরে ফেলবেন এবং অন্য মাছ পরিবারের খাবারের জন্য ব্যবহার করবেন। বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে নুতন পানি এলে এই মাছ পুন:রায় পুকুর থেকে নালা হয়ে ধানক্ষেতে চলে আসবে এবং তারা এই রিং এর মধ্যে আশ্রয় নিয়ে তাদের প্রজনন অব্যাহত রাখতে পারবে। রিং বসানো ২/১ টি গর্তে ইতি মধ্যেই শিং, কৈ জাতীয় দেশীয় মাছ আশ্রয় নিয়েছে এবং তা দেখানোর জন্যই সুবিধাভোগীরা দু একটি গর্ত থেকে মাছ ধরেছে। বেসরকারি সংস্থা সাইডো মাঠ পর্যায়ে রিং বসানোর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী, সুবিধা ভোগী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ওয়ার্ল্ডফিস সেন্টারের উদ্যোগে দু বছর পূর্বে জগন্নাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করা হয়েছিল। এ অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ডফিস সেন্টারের প্রজেক্ট লিডার মেলোডি ব্রাউন উপস্থিত ছিলেন। যে সকল ধানের ক্ষেতে রিং বসানো হয়েছে সেই জমির মালিকের সুবিধা ভোগী হিসাবে এর সংরক্ষন ও পরিচর্যার দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রতি বছর রিং এর মধ্যে ভরাট হওয়া মাটি অপসারন করবেন। এই গ্রামের সুবিধাভোগী ইদ্রিস হাওলাদার তার জমির আইলের পাশে রিং বসানোর কাজ করছিলেন। তিনি জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশীয় মাছ সংরক্ষন করা সম্ভব হবে। একই গ্রামের সুবিধাভোগী খালেদা আক্তার জানান, এই প্রকল্প থেকে সবাই মিলে এই ভাবে দেশীয় মাছ সংরক্ষন করতে পারলে তাদের পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মেটানোও সম্ভব হবে। সাইডোর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ হোসাইন আহম্মেদ কামাল জানান, প্রকল্পটি এই এলাকায় পাইলট প্রকল্প হিসাবে শুরু করা হয়েছে , স্থানীয় মানুষ এই সুবিধা গ্রহণ করলে অন্যান্য গ্রামেও এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সকলেই উপকৃত হবেন। রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রথম দিকে এই প্রকল্প নিয়ে আমাদের মধ্যেও সংশয় ছিল, তবে বাস্তবে এর কর্মপরিকল্পনা সুবিধাভোগিদের মত তাকেও অনুপ্রানিত করেছে এবং জনপ্রতিনিধি হিসাবে তারাও জনগনকে উদ্ভুদ্ধ করছেন। তিনি এই প্রকল্পের আরো সফলতা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দাদের ভোগান্তি চরমে : ঝালকাঠি বর্ধিত পৌর এলাকা উন্নয়ন
বঞ্চিত

Shamol Bangla Ads

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ঃ- ঝালকাঠি পৌর এলাকার বর্ধিত অনেক অংশে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। নেই পানি সংযোগ, নেই রাস্তা, নেই পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দাদের ভোগান্তি চরমে পৌছে নাভিঃশ্বাস উঠেছে। এমপি, মেয়র এবং জেলা প্রশাসক সরেজমিনে গিয়ে উন্নয়নের আশ্বাস দিলে তা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ঝালকাঠি পৌর এলাকার কৃষ্ণকাঠি সুতালড়ি পুলিশ লাইনের পিছনের বেদে পল্লীর সরদার সর্পরাজ আঃ রহিম জানান, পৌর এলাকার বর্ধিত করণের সময় এ এলাকাকে বর্ধিতকরণের আওতায় নেয়া হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত পানি সংযোগ, রাস্তাঘাট ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি। আমরা পৌরসভার চাহিদামত ভূমিকরসহ সবকিছুই পরিশোধ করে যাচ্ছি। এখানের ৫০ মিটার প্রস্ত খালে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ২০০৩ সাল থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। ৩/৪ বছর ধরে ভাঙনের আকার আরো তীব্র ধারন করেছে। একটি ব্রীজ দেখিয়ে তিনি বলেন, দেখেন রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় ব্রীজটি এখন খালের মধ্যে। কতদূর দিয়ে এলাকাবাসী নিজস্বভাবে বালুর বস্তা ফেলে রাস্তা তৈরী করে চলাচল করছে। এখানে ২০১১ সালে ঝালকাঠি-২(সদর-নলছিটি) আসনের এমপি ও বর্তমান শিল্পমন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু, পৌর মেয়র আফজাল হোসেন এবং তৎকালীন জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করে এখানে আনা হয়েছিল। তারা এসে দেখে সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়ে গেছে। আশ্বাস আশ্বাসেই রয়েগেছে। পরে ২০১২ সালে লিখিত ভাবে আবার তাদেরকে অবগত করানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি। ঝালকাঠি পৌর মেয়র আফজাল হোসেন জানান, কৃষ্ণকাঠি সুতালড়ি পুলিশ লাইনের পিছনে বর্ধিত পৌর এলাকা উন্নয়নের জন্য জাপানী সংস্থা জাইকা প্রকল্পে দেয়া হয়েছে। প্রকল্প থেকে বরাদ্দ এলেই উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!