এম, এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদার রহমানকে আগামী ২০ মার্চের অপসারণের দাবি জানিয়েছে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। ওই দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সৈয়দপুর শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের নিয়ামতপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নীলফামারী জেলা বাস,ট্রাক,মিনি ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও নীলফামারী জেলা মাইক্রোবাস,জীপ,কার শ্রমিক ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক অংশ নেন। পরে শহরের দিনাজপুর মোড়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা বাস, ট্রাক, মিনি ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজ আলী, দপ্তর সম্পাদক এফাজ উদ্দিন সরকার, নীলফামারী জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ কুমার রায় প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ওসি সহিদার রহমান সৈয়দপুর থানায় যোগদানের পর থেকে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছে। টাকা ছাড়া থানায় কোন মামলা নেয়া হয় না। টাকা আদায়ের জন্য শহরের নিরীহ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ওসিকে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর আখ্যায়িত করে আগামী ২০ মার্চের মধ্যে অপসারণের দাবি জানান বক্তারা। অন্যথায় আগামী পরিবহন ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসুচি নিয়ে গোটা নীলফামারী জেলাকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
জানা যায়, নীলফামারী জেলা মাইক্রোবাস,জীপ,কার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মানিকের কামারপুকুর ইউনিনের কলাবাগান দলুয়া এলাকার বাড়িতে গত ২৭ ফেব্র“য়ারি গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে সর্বস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শ্রমিক নেতা মো. মানিক স্থানীয় থানায় মামলা দিতে গেলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করে। উপরন্ত নানাভাবে তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করেন। পরে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল গত ১ মার্চ শহরের একটি অনুষ্ঠানে শ্রমিক নেতা মানিকের বাড়িতে হামালা ও লুটপাটের ঘটনাটি নিয়ে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে সৈয়দপুর সার্কেলের এএসপি এবং ওসির সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সৈয়দপুর সার্কেলের জ্যৈষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এ এনএম সাজেদুর রহমান ও থানার ওসি সহিদার রহমান শ্রমিক নেতা ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।