এস এম জামাল, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও দেশের সূর্য্য সৈনিক মুক্তিযোদ্ধারা যে আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছিল তা পুরণ হয়নি আজো। দেশের স্বাধীনতার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আমরা এখনো স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ স্বাদ পায়নি। দেশের স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণে যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছে তাদের মধ্যে কোন বিভেদ অনৈক্য থাকতে পারেনা।
তিনি গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ১৭মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৪তম জন্মদিন দিবস ও জাতীয় দিবস’ ২০১৪ ও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার কিছু নেই। আমাদের স্বাধীনতার মহান মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করেছিল সেই সকল যুদ্ধাপরাধীরা এখনো আস্ফালন দেখায় এবং দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মহান স্বাধীনতা বাঙালি জাতি তথা আমাদের জন্য বিশাল কিছু পাওয়া।
তিনি আরও বলেন, বছরে একবারই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে। আমরা যে যেখানে থাকি না কেন সেখান থেকেই ওই দিনে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। যারা দেশের মাটি ও পতাকাকে ভালবাসতে পারে না তাদের দ্বারা কোনদিন দেশের কল্যাণ হতে পারে না। জাতিকে কলঙ্ক ও দায়মুক্ত করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ স্বাদ পেতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যোগ্য সম্মান দিতে হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো যথাযোগ্য সম্মানের সাথে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আমাদের শ্রদ্ধাভরে শহীদ বীর সেনাদের স্মরণ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত সকলকে নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুল কমিটি গঠন সহ বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয় এবং প্রতিবারের ন্যায় এবারো যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করার সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এসময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিব-উল-ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহাম্মেদ, কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.জমির উদ্দিন, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বদরুদ্দোজা, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আজিজুন নাহার, যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক মোর্শেদ আলম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক ও জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার তৌহিদুজ্জামান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী, জেলা কালচারার অফিসার সুজন রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নাছিম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার হাজী রফিকুল আলম টুকু, জেলা সাংগঠনিক কমান্ডের মানিক কুমার ঘোষ, বিশিষ্ট লেখক ও কলামিষ্ট শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ মিন্টু, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, চেম্বার অব কর্মাসের সহ-সভাপতি এসএম কাদেরী শাকিল, জেলা শিল্পকলা একাডেমী সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেম, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্র“পের সিনিয়র সহ-সভাপতি আকিল আহমেদ, বিশিষ্ট নারী নেত্রী আলম আরা জুঁই, উদীচির সমর রায়, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ, সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফালি রহমান, পলী বিদ্যুতের জিএম মুখলেছ গণি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন লাবলুসহ জেলার সূধীজন, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।