স্টাফ রিপোর্টার : পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে দ্ব›দ্ব ও পাল্টাপাল্টি মারপিটের ঘটনাটি ৩ মার্চ সোমবার বিকেলে আপস রফা হয়েছে। ৬০ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অবশেষে সোমবার সন্ধ্যা থেকে শেরপুর-ঢাকা রুটে সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। নাইট কোচ গুলোও তাদের গাড়ীর টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। ঢাকা ও শেরপুরের পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় দ্ব›দ্ব ও পাল্টাপাল্টি মারপিটের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
শেরপুরের পরিবহন মালিক-শ্রমিক সূত্রগুলো জানায়, যাত্রী দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ময়মনসিংহ জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির অফিসে সোমবার দুপুরে শেরপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর বাস কোচ মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শেরপুরের নবীনগর বাস স্ট্যান্ডে ঢাকার শ্রমিকদের মারপিটের জন্য হামিদুর ও গোলাম মোস্তফা মস্তু নামে দুই শ্রমিক নেতাকে দায়ী করা হয়। সভায় উপস্থিত ওই দুই নেতা নিজেদেরকে নির্দোষ দাবী করলে তাদেরকে আগামী ১৫ দিনের জন্য টার্মিনালে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের নাম-পরিচয় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হামলাকারীদের নাম পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ঐকমত্য পোষণ করে সন্ধ্যা থেকেই বাস চলাচল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি শামীম আহম্মেদ। এতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ওসমান আলী, মহাখালী টার্মিনালের শ্রমিক নেতা সদু মিয়া, মহাখালি টার্মিনাল পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে শেরপুর জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল আলম মানিক, সম্পাদক কামাল উদ্দিন কমল, গাজীপর পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতা শওকত আলী বাবুল, রাসেল সরকার প্রমুখ সভায় ছিলেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল আলম মানিক জানান, একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটনাটি ঘটে ছিল। শেরপুর-ঢাকা রুটের সবগুলো জেলার পরিবহন মালিক-শ্রমিক সব পক্ষ মিলে ঘটনাটি আপস-মীমাংসা হয়ে গেছে।