এম, এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : চলতি বছরের এপ্রিলে সৈয়দপুর- ঢাকা আকাশপথে বেসরকারি বিমানের পাশাপাশি আবার ডানা মিলবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস্। এ রুটে বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে লোকসানের অজুহাতে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ বিমান বহরে নতুন কিছু বিমান যোগ হচ্ছে। যা দিয়ে সৈয়দপুর- ঢাকা রুটে এপ্রিলে বিমান পরিচালনা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া সম্ভাব্য অন্য চারটি রুট হচ্ছে, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-যশোর, ঢাকা- রাজশাহী ও ঢাকা-বরিশাল। বিমানের অভ্যন্তরীন রুটগুলো পূণরায় চালু করতে দুটি টার্বো প্রোপেলার উড়োজাহাজ সংগ্রহ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রংপুর বিভাগের একমাত্র সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রতিদিনই যাত্রীচাপ বাড়ছে। আকাশপথের যাত্রীদের অব্যাহত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে সৈয়দপুর- ঢাকা রুটে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ যাত্রী পরিবহণ শুরু করে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শহীদুল আলম চৌধুরী জানান, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ প্রথমত সপ্তাহে ৩দিন বিমান চলাচল শুরু করে। পরে যাত্রীচাপ বেড়ে গেলে প্রতিদিনই ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে। তবে কোন কোন দিন একাধিক ফ্লাইট চালাতে বাধ্য হচ্ছে বিমান সংস্থাটি। তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবকাঠামোসহ সব ধরণের সুযোগ- সুবিধা রয়েছে। উপর থেকে এ রুটে বিমান চলাচলের নির্দেশনা রয়েছে তিনি উলেখ করেন। যাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের যাত্রীসেবা মান সম্পন্ন নয়। এর উপর ওই বিমান সংস্থা গত ডিসেম্বর মাস থেকে একচেটিয়াভাবে এ রুটে টিকেটের মূল্য ৪ হাজার ৭৫০ টাকার স্থলে ৭ হাজার ৭৫০ টাকায় উন্নীত করেছে। আকর্ষিক বিমান ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এ প্রসঙ্গে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সৈয়দপুর এজেন্সি অফিসের তত্ত¡াবধায়ক তারিকুল আলম জানান, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি উপর থেকে নির্ধারিত। এতে করে যাত্রীদের বাড়তি চাপ হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
সূত্র মতে, সৈয়দপুর- ঢাকা রুটে এখন বিমান যাত্রী অনেক বেশি। এছাড়াও রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চলে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এখানে উত্তরা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) থাকায় বিদেশ বিনিয়োগও আসছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার এ রুটে সরাসরি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস্ পরিচালনায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে।