আখি ইসলাম, কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পরপরই সরকার দলীয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফারুক সিকদার আওয়ামীলীগের নেতা কর্মি ও ৬টি ইউনিয়নের ৫জন দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার সাধারন ভোটারদের নিয়ে ইতো মধ্যে উপজেলার সবকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে সাধারন ভোটারদের কাছে দোয়া চাইছেন,বলে অনেকে জানান। তবে প্রথম দিকে এই সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকায় কিছু অপপ্রচার থাকলেও কাঠালিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম কিবরিয়া সিকদার প্রতিটি এলাকায় এলাকায় গিয়ে ভোটারদের মন জয় করছেন। তবে তার নিকটতম আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ তরুন সিকদারর প্রার্থী হওয়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সিকদারের সাথে সমজতা না হলে মোঃ ফারুক সিকদারের সমস্যা হতে পারে বলে বলে অনেকে ধারনা করছেন। অপর দিকে বিএনপির দলীয় প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম মিরন সিকদার কোমর বেধে মাঠে নামলেও তার দলীয় নেতা কর্মিদের তেমন একটা দেখা যাচ্ছেনা এতে সাধারন মানুষ মনে করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ আব্দুল জলিল মিয়াজী নির্বাচন করায় অনেক বিএনপির বড়বড় নেতারা বিএনপির এই দুই প্রার্থীকে এরিয়ে চলছেন। অপরদিকে জাতীয় পার্টির জেপির এক মাত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল মনে করছেন আওয়ামীলীগের ২ বিএনপির ২ সুযোগ খুজি মুই এই সুযোগে আমি বিজয়ী হবো বলে আশাকরি। তবে সাধারন ভোটাররা মনে করেন,যে রুবেল যদি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। তবে আমরা বিপদে আপদে তো তাকে এলাকায় পাবো না সেতো ঢাকায় থাকবেন। রুবেল জানান,আমি নির্বাচিত হলে আমি আমার এলাকায় থেকে জনগনের সেবা করব। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ আব্দুল জলিল মিয়াজীর এলাকায় কিছু চাপা ভোট থাকলেও তিনি একটি মারামারি মামলায় জেল হাজত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে ঢাকায় বসবাস করছেন এখন ও তিনি এলাকায় আসেনি। তিনি জানান,আমার বিদ্রোহী বিএনপির লোকজন আমার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত করে আসছে, প্রতিক বরাদ্ধর পরই এলাকায় এসে জনগনের কাছে জাব। এ দিকে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম মিরন সিকদার জানান,বিএনপির অন্যকোন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না আমি মনে করি আমার নিকটতম বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ আব্দুল জলিল মিয়াজী তার প্রার্থীতা প্রতাহার করবেন।
