মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করার জের ধরে ১ ফেব্রæয়ারী শনিবার দিবাগত রাতে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের কর্মীরা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ৭ জন মারাত্মক আহত হয়। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরপুর সরকারী কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান সাগর (১৮) অভিযোগ করেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে ৩৫ জন কর্মী নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার নান্নুর পক্ষে কাজ করে। এতে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াছাত হায়দার টগরের কর্মীদের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ভোটে বর্তমান চেয়ারম্যান পরাজিত হলে তার কর্মীরা সাগর গ্রæপের কর্মীকে অপদস্ত করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এরই জের ধরে এদিন রাতে সাগর তার বন্ধুদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বই মেলা এলাকা থেকে ফেরার পথে ঈদগাহের কাছে উপজেলা সদরের কলোনীপাড়ার বাবু খানের ছেলে সোয়েব খানের নেতৃত্বে লেলিন, সামিউল, হীরন, তোতা, সোহাগ, শরিফুল, জনি, রকি, বাবলু দাস ও আরো ১৫-২০ জন তাদের উপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে। এসময় কুঞ্জবনের মুনসুর সরকারের ছেলে মেহেদী হাসান সাগর, শাহজাদপুর গ্রামের শুশিল চন্দ্রের ছেলে শুভ (২০), মধুবন গ্রামের রঞ্জিত কুমারের ছেলে পাপ্পু (১৮), খোর্দকালনা গ্রামের সাহাজুলের ছেলে শামীম (২৫), পাহাড়পুর গ্রামের তরুণ সাহার ছেলে তাপস (২০), কুঞ্জবন গ্রামের রফিকুলের ছেলে রাব্বি (২২), খাজুর গ্রামের ওহাব আলীর ছেলে বিল্লাহ (২৩) ও ল²ণপুর গ্রামের তাসেম আলীর ছেলে আকরাম (১৮) মারাত্মক আহত হয়। এদের মধ্যে সাগরের মাথায় ৮ টি ও পাপ্পুর মাথায় ৪ টি সেলাই দিতে হয়েছে এবং তাপসের নাক ভেঙ্গে গেছে। এ ব্যাপারে ২ ফেব্রæয়ারী রোববার থানায় একটি এজাহার দেয়া হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচ এনায়েত উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার নান্নু এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াছাত হায়দার টগর জানান, এ ঘটনা নির্বাচনী কোন রেশ নয়, বরং তাদের ব্যক্তিগত বিষয়কে কেন্দ্র করে এরকম ঘটনা ঘটেছে।