নরসিংদী প্রতিনিধি : মনোহরদীতে জাল দলিল সৃষ্টিকারী চক্রের এক সদস্য ফরিদ শেখ ধরা পড়েছে। মনোহরদী থানা পুলিশ গত শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে আদালত থেকে এক দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কোর্টে চালান দিয়েছে। জালিয়াত ফরিদ শেখ তার জালিয়াতির কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। পুলিশ তার স্বীকারোক্তি মতে জালাল দলিল উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মনোহরদী উপজেলার ডোমনমারা গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিম শেখের পুত্র ফরিদ শেখ, ফজলুর রহমান শেখ ও তারা মিয়া শেখ দীর্ঘ দিন যাবৎ ঢাকার ডিআর অফিসের একটি জালিয়াত চক্রের সাথে যোগসাজশে জাল দলিলের ব্যবসা করে আসছিল। তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুরনো স্ট্যাম্প যোগাড় করে ডিআর অফিসের সীল, স্বাক্ষর জাল করে কল্পিত নাম্বার দিয়ে ভূয়া স্বাক্ষী বানিয়ে দলিল সৃষ্টি করতো। তারা মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর মৌজার ০১ একর ২৪ শতাংশ জমির দলিল জাল করে এই জমির মালিকানা দাবী করে। এই জমির ক্রয়সূত্রে প্রকৃত মালিক হচ্ছে মৃত হাজী আব্দুল হাসিম। এই আব্দুল হাসিমের নামে সাফকবলা দলিল এবং নামজারী থাকার পরও বিরেন্দ্রনাথ রায়কে দাতা এবং হাকিম শেখকে গ্রহীতা দেখিয়ে দলিল সৃষ্টি করে। এই ঘটনা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে জানানোর পর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাদেরকে শালিশ দরবারের সম্মুখীন করে। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদ শেখ তাদের দলিলের সমর্থনে কোন কাগজপত্র বা অরিজিনাল দলিলের কপি সরবরাহ করতে পারেনি। এ ব্যাপারে আব্দুল হাসিমের পুত্র জিয়াউর রশিদ, ফরিদ শেখের ৫৬৮২ নাম্বারের জাল দলিলের ব্যপারে ঢাকার ডিআর অফিসে তল্লাশী চালিয়ে দেখতে পায় যে, এটি একটি সরকারী দলিলের নাম্বার। এই ঘটনার পর জিয়াউর রশিদ বাদী হয়ে জালিয়া ফরিদ শেখ, ফজলু শেখ, ও তারা মিয়া শেখের বিরুদ্ধে মনোহরদী থানায় একটি জালিয়াতির মামলা দায়ের করে।এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মনোহরদী থানা পুলিশের এসআই মোঃ আলিম হোসেন শিকদার, ফরিদ শেখকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল রবিবার নরসিংদীর আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।