নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে গত বছর ৩ রা মার্চ নাশকতা মামলায় ৩৭৯ জনের নামে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। ওই দিন সকালে জামায়াত-শিবির ও মাও.দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর অনুসারীরা নন্দীগ্রাম থানা, ইউএনও অফিসসহ ১৭টি অফিসে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনা ঘটায়। এছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ এবং উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। ওই সব ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। তৎকালিন থানার ওসি আমিনুর রহমান বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছিল সে মামলাটির ইতোপূর্বেই চার্জশিট দেয়া হয়েছে। ইউএনও অফিসের ওএস শহীদুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলায় থানার ওসি শাহজাহান আলী ২৬৮ জনের নামে চার্জশিট দেয়। উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ’র দায়েরকৃত মামলায় এসআই আমিনুল ইসলাম ৮৫জনের নামে চার্জশিট দেয়। অপরদিকে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলমের দাযেরকৃত মামলায় এসআই আহসানুজ্জামান ২৬ জানের নামে চার্জশিট দিয়েছে। গত ২৮শে ফেব্র“য়ারি ৩টি মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়। গত বছর ৩রা মার্চ ভোরে মাও.দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা যায় বলে গুজব উঠে। ওই গুজবের জের ধরে জামায়াত-শিবির ও মাও. দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর অনুসারীরা বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে এসে নন্দীগ্রামে সমবেত হয়ে ওইসব ঘটনা ঘটায়। ওই দিন সরকারী ও ব্যক্তি মালিকানা বিপুল পরিমাণ সম্পদ ক্ষতি সাধণ হয়েছিল। ৪টি মামলায় নন্দীগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডলকে ১নম্বর আসামী করা হয়েছে। ওসি শাহজাহান আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে ৪টি মামলা তদন্ত করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।