ads

রবিবার , ২ মার্চ ২০১৪ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

জয়-পরাজয়ের আত্নজ অনুভুতি- রফিকুল ইসলাম আধার

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
মার্চ ২, ২০১৪ ১:৫১ পূর্বাহ্ণ

01 Adhar জয়-পরাজয় নিয়েই নির্বাচন। বিজয়ে যেমন আছে আনন্দ, ঠিক তেমনি পরাজয়ে কাজ  করে  তার  বিপরীত প্রতিশব্দ ‘নিরানন্দ’। এরপরও কিছু কিছু হার বা পরাজয়ের কষ্ট হৃদয়কে মর্মে মর্মে ক্ষত-বিক্ষত করে। ঠিক এমনই অবস্থার শিকার ছিলাম আমি। সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অডিটরসহ বিভিন্ন পদে বার বার নির্বাচিত হওয়ার ধারাবাহিতায় গড়া ভিত্তির ওপর ভর করে ঐতিহ্যবাহী শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ২০১২ সনের নির্বাচনে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাকে বিপুল ভোটাধিক্যে হারিয়ে বিশাল বিজয় লাভ করি। কিন্তু ২০১৩ সনের নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত একজন কনিষ্ঠ সহ-কর্মীর কাছে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর কলাকৌশলে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে হেরে সেই যাতনার বোঝা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। পরাজয়ের দায়ভার নিজের কাঁধে চেপে সকলের সাহচর্যে থেকে সেই ২০১২ সনের বিজয়ের স্বাদ গ্রহণের ইচ্ছেয় নিজেকে সামলিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম একটি বছর। অবশেষে প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির মিলন ঘটেছে। পূর্ণতা পেয়েছে বিজয়ের স্বাদ গ্রহণের ইচ্ছের। ২০১৪ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি- দলমতের উর্ধ্বে সকলের সহযোগিতায়। এবারের বিজয়ে আত্নজ অনুভূতিটা এতই প্রবল এজন্য যে, ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত টানা ৩টি নির্বাচনেই আমার সিনিয়র এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী সভাপতি ও আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে অংশ নিলেও প্রথম দুটি নির্বাচনেই আমরা কেউ একসাথে পাশ করতে পারিনি। অর্থাত্ ২০১২ সনে আমি নির্বাচিত হলেও তিনি হয়েছেন পরাজিত। আবার ২০১৩ সনে তিনি নির্বাচিত হলেও আমি হয়েছি পরাজিত। সেই আফসোসের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে এবার কেবল দু’জনেই একসাথে নয়, দু’জনের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জিত হয়েছে। সেইসাথে আমি প্রবলভাবে আশান্বিত যে, দীর্ঘ ১০ বছর পর সমিতির ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে আমার আদর্শের সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত ফেরদৌসী-আধার প্যানেল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ টি পদেই বিজয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী ও মাননীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিকের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের সাথে আমাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা হবে। আমরা তুলে ধরতে পারব স্থান নির্বাচনে জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন যাবত ঝুলে থাকা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ভবন নির্মাণ প্রকল্পসহ নানা সমস্যার কথা। পেয়ে যেতে পারি প্রত্যাশিত সহায়তা। কেবল সভাপতি-সম্পাদকসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে বিজয়লাভ করার কারণেই আমাদের এই সুযোগটি সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য আমি সমিতির সকল বিজ্ঞ আইনজীবী-ভোটারসহ শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
বলাবাহুল্য, প্রতিপক্ষের উপুর্যপরি মিথ্যাচার আর নানা ষড়যন্ত্রের পরও পরিবর্তিত অবস্থায় এবারের প্রাপ্তি আমাকে নি:সন্দেহে নতুনভাবে জানতে-বুঝতে ও চলতে শেখাবে। দায়বদ্ধতার সমীকরণে প্রতিশ্রুত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি বার-বেঞ্চের মধ্যে সমন্বয়, আইনজীবীদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমার চলত্শক্তি বৃদ্ধি হোক, আমি বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে আদর্শিক চেতনায় সমধিক উজ্জীবিত হয়ে সাহসী ভূমিকায় এগিয়ে যাব সামনের দিকে- বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে এই অঙ্গীকার আমার।
রফিকুল ইসলাম আধার : সম্পাদক, শ্যামলবাংলা২৪ডটকম।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!