ads

শনিবার , ১ মার্চ ২০১৪ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

সরকারের ৫ বছরের যুব উন্নয়নের সাফল্য গাথায় সমৃদ্ধ শ্রীবরদী

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মার্চ ১, ২০১৪ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

clip_image002২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আ’লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল তথা মহাজোট জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিশাল বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে ০৬-০১-২০০৯ ইং তারিখের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনী এস্তেহার বাস্তবায়ন করাবস্থায় ৫ বছর অতিক্রম করে এই পন্থায় সংবিধান অনুযায়ী ০৫-০১-২০১৪ ইং তারিখের অবাধ নির্বাচনে পূর্বের ন্যায় ফলাফল অর্জন করে। বিগত ৫ বছরের আমলে স্বার্থকতার পাশাপাশি কিছুটা ব্যর্থতা থাকা অযৌক্তিক নয়। সদিচ্ছা থাকলে চলমান সময়ে তা পুষিয়ে নেওয়াটাই স্বাভাবিক। ২০২১ সালটি জাতীয় জীবনে একটি অবিস্মরণীয় সাল। কেননা, এই সালেই স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। অর্থাৎ সূবর্ণ জয়ন্তি উদ্যাপিত করবে বীরের জাতি বাঙ্গালী। তাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের দলীয় সরকার সালটি দিন বদলের ভিশন হিসেবে চিহ্নিত করে মহান স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল দেশ গঠনের দীপ্ত প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলার পথ পরিক্রমা গ্রহন করে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টর শক্তিশালী করনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ৭১’র পরাজিত শক্তিরা যাতে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সরকারের পাশে যদি জাতি সহায়তার হাত প্রসারিত করে তবেই ভিশন-২০২১ পূর্ণতা পাবে। ফলে দেশটি অবশ্যই মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়ে উন্নত জাতি স্বত্তার দেশের সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হবে। এহেনবস্থায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে দেশটি দৃঢ় পথ পরিক্রমায় এগিয়ে যাবে। তাই সরকার আর্থ সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সহ সর্ব ক্ষেত্রেই যুগান্তকারী কর্মকান্ড বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত সরকারের চার বৎসরের যুব মন্ত্রণালয়ের সাফল্য গাঁথা চিত্র নিম্নরূপ- যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে চালু হয়েছে শিক্ষিত বেকার যুবকদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান মূলক-“ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী”। এর অধীনে গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও বরগুনা জেলায় ৫৬ হাজার ৫৪ জনকে ২ বছরের জন্য অস্থায়ী কর্মসংস্থানে সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রংপুর বিভাগের বাকী ৭টি জেলার ৮টি উপজেলায় নতুন করে এ কর্মসূচী চালু করা হয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের মধ্যে কর্মসূচী ভিত্তিক নেটওর্য়াকিং জোরদারকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সাথে সকল জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া দেশের এক হাজার যুব ক্লাবকে এ কার্যক্রমে অন্তূর্ভক্ত করে তাদের মধ্যে কম্পিউটার প্রদান করা হয়েছে। ১১টি জেলায় আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও ২৯টি পুরাতন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একাডেমিক ভবন ৩ তলা থেকে ৫ তলায় উন্নীত করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুছ ছালাম বেপারীর সাথে সম্প্রতি তার কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাতকালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এবং বিগত সরকারের ৫ বৎসরের তার কার্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্ষেত্রে সরকারের গৌরবগাথা অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিম্নবর্ণিত চিত্র তুলে ধরেন-
যুব প্রশিক্ষণ ও আন্তকর্মসংস্থান কর্মসূচীটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। গত ৫ বছরে ওই কর্মসূচীর আওতায় ১৫২৮ জন যুব/যুব মহিলাকে বিভিন্ন ট্রেডে দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক আবাসিক/ অনাবাসিক ও ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৪৭ জন যুব/যুব মহিলা কে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও স¤প্রসারনের জন্য ৬৪,৮৫,৫০০/= টাকা মাত্র যুব ঋণ প্রদান করা হয়েছে। যা, পূর্বের সরকারের তুলনায় বর্তমান সরকারের মেয়াদে সবচেয়ে বেশী।
পরিবার ভিত্তিক কর্মসংস্থান কর্মসূচী ঃ কর্মসূচী একটি চলমান প্রক্রিয়া। গত ৫ বছরে ওই কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন বয়সের ৫০০ জন সদস্য/সদস্যাকে ক্ষুদ্র ব্যবসার আওতায় গ্র“প ভিত্তিক ১,৬৭,২২,০০০/= টাকা মাত্র ঋণ প্রদান করা হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, পূর্বের সরকারের তুলনায় বর্তমান সরকারের মেয়াদে সবচেয়ে বেশী ঋণ প্রদান করা হয়েছে। নেটওয়ার্কিং জোরদারকরণ প্রকল্প ঃ এই প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের একটি সফল প্রকল্প। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন “যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও বেসরকারী যুব সংগঠন সমূহের মধ্যে নেটওয়ার্কিং জোরদারকরণ” শীর্ষক কারিগরী সহায়তা প্রকল্পের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। তাছাড়া প্রধান কার্যালয় কর্তৃক বাছাইকৃত অত্র শ্রীবরদী উপজেলার পূর্ব কাজীর চর যুব সংঘ এবং মাটিয়াকুড়া যুব উন্নয়ন সমিতির মাধ্যমে গত বছরে মোট ২৪টি ব্যাচে (৩০ জন করে) মোট ৭২০ জন যুবক/যুব মহিলাকে স্থানীয় পর্যায়ে যুবদের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ওই দু’টি সংগঠনের ৪৪ জন যুবককে ১০ দিন মেয়াদী এবং ২ জন যুবককে ১ মাস মেয়াদী কম্পিউটার কোর্সে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে যুব সংগঠন ৩টি অনুকূলে ১টি করে কম্পিউটার এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। কমনওয়েলথ ইয়ুথ প্রোগ্রাম টেকনোলজী এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার (সিওয়াইপিকেট) : এটিও বর্তমান সরকারের একটি সফল প্রকল্প। যাহা বাংলাদেশের ৩৮টি উপজেলার মধ্যে শ্রীবরদী উপজেলা এই প্রকল্পের আওতায় মনোনীত হয়েছে। প্রকল্পটি কম্পিউটার ভ্যানে ১ মাস ব্যাপী ২টি শিফটে ২৪ জন বেকার যুব/যুব মহিলাকে প্রশিক্ষন প্রদান করে থাকে। এই প্রকল্পের আওতায় অত্র শ্রীবরদী উপজেলার ২৪ জন বেকার যুব/যুব মহিলাকে প্রশিক্ষন প্রদান ১ মাস মেয়াদী বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। উলে­খ্য, প্রশিক্ষণগ্রহণকৃত যুবকরা নিজেরাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং কয়েকজন যুবকের বিভিন্ন সংস্থায় চাকুরীর সংস্থান হয়েছে। ওই প্রশিক্ষণ কোর্সটি এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
তালিকা ভূক্ত যুব সংগঠন ঃ শ্রীবরদী উপজেলায় ২৮টি বেসরকারী যুব সংগঠনকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভূক্তি করা হয়েছে। যুব সংগঠন সমূহকে নিয়ে প্রতি ৩ মাস পর পর সমন্বয় সভা করে সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও যুব সংগঠন সমূহকে আরও নিবিরভাবে আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড তথা ব্ক্ষৃরোপন, যৌতুক বিরোধী আন্দোলন জোরদারকরণ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, ভেজাল বিরোধী আন্দোলন, প্রজনন স্বাস্থ্য, এইচআইভি এইডস, স্যানিটেশন, ইভটিজিং ইত্যাদি কার্যক্রম আরো জোরদার করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের ৫ বছরে উক্ত যুব সংগঠন সমূহের মধ্যে থেকে ১৫টি সংগঠনকে যুব কল্যাণ তহবিল থেকে সর্বমোট= ৩ লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষন কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প ঃ এই প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছর থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে ০৭, ১৪, ২১ দিন মেয়াদী বিভিন্ন ট্রেডের উপর ৪শ জন যুব/যুব মহিলাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া চলতি ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে শ্রীবরদী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডের আওতায় ২শ ৪০ জন বেকার যুব/যুব মহিলাকে ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় ৩ মাস মেয়াদী গবাদি পশু ও হাঁস- মুরগী পালন, ৬ মাস মেয়াদী বেসিক কম্পিউটার, ১ মাস মেয়াদী মৎস চাষ, ৪ মাস মেয়াদী ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাউজ ওয়ারিং, ০৪ মাস মেয়াদী ইলেকট্রনিক্স, রেফ্রিজারেটর এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং এবং ৪ মাস মেয়াদী পোশাক তৈরী বিষযক প্রশিক্ষন কোর্সের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন করে নিয়মিত ভাবে জেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে করা হচ্ছে। এছাড়া বিভাগীয় বিগত ৫ বৎসরের কার্যক্রমের যাবতীয় তথ্যবলীর মধ্যে- * যুব প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় ঋণ বিতরণ ৬৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫শ টাকা। * পরিবার ভিত্তিক কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় ঋণ বিতরণ ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকা আদায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
* যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও বেসরকারী যুব সংগঠনের মধ্যে কর্মসূচী ভিত্তিক নেটওয়ার্কিং জোরদারকরণ শীর্ষক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ প্রদান ৭শ ৬৪ জন। * কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করণ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ প্রদান ৩৬০ জন। সর্বপুরি মোট ঋণ বিতরণ ২ কোটি ৩২ লক্ষ ৭ হাজার ৫শ টাকা এবং মোট ঋণ আদায় ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৭০ হাজার ২শ টাকা মাত্র। আদায়ের হার ৮৩% ভাগ। মহান মুক্তিযোদ্ধে যুবকদের আত্মত্যাগ ও জীবন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। এই খাত আরো বৃদ্ধি পেয়ে সমৃদ্ধ দেশ গঠন করতে পারলেই মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন অনেকাংশেই বৃদ্ধি হতে পারে। তাই সরকারে প্রতি উদাত্ত অনুরোধ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আরও শক্তিশালী করা একান্ত প্রয়োজন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!