মোঃ গোলাম রব্বানী, পাইকগাছা (খুলনা) : প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে গুণগতমান সম্পন্ন চিংড়ি উৎপাদন করতে হবে। তাহলে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি ও চিংড়ি পণ্যের সুনাম ও প্রবেশাধিকার অক্ষুন্ন থাকবে। তিনি শুক্রবার দুপুরে নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে বাংলাদেশ শ্রিম্প এন্ড ফিস্ ফাউন্ডেশন আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপি ‘উত্তম চাষ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে চিংড়ি ও মাছ চাষ’র উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সমাপনীতে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের আমিষের চাহিদা শতকরা ষাটভাগ পূরণ করে মাছ। মাছে ভাতে বাঙালি আমাদের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি ও মাছ চাষ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. সেলিনা আফরোজ। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শ্রিম্প এন্ড ফিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইদ মাহমুদুল হক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুলনা অঞ্চল প্রাকৃতিকভাবে চিংড়ি ও মাছ চাষের উপযোগি। প্রাকৃতিক এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় চিংড়ির পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি ফসল উৎপাদন করতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড্স এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিশেনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ এগ্রিকালচার এ্যালাইনস’র পরিচালক এম কলিম উলাহ, বাংলাদেশ ইকোনোমিক গ্রোথ প্রোগ্রামের উপ-পরিচালক নাছরিন আকতার চৌধুরী এবং জিপসান’র প্রতিনিধি ড. মাইকেল এল জ্যানেক প্রমুখ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, দেশী-বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।