শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরই আন্দোলন শুরু হবে। দ্রুত এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে। ১ মার্চ শনিবার বিকেলে রাজবাড়ীর শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় তিনি ওই কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আছে। তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না।
১৯ দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হতে পারে না উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন হতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। আমাদের আন্দোলন শুরু হবে। অবৈধ সরকারকে বেশি দিন ক্ষমতায় রাখা যাবে না।
বিগত সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “আরো জোরালো আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে সরাতে হবে। অন্যথায় দেশে শান্তি আসবেনা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে না।”
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষ খুন করতে জানে, উন্নয়ন করতে জানে না। এ সরকার বহুদলীয় গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এ সরকার অবৈধ, জবরদখলকারী সরকার। দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ত্ব রাখতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সম্পদ লুট করে। এরা রক্তপিপাসু। এরা শুধু হত্যা করতে জানে, মানুষকে রক্ষা করতে জানে না। আওয়ামী লীগ সরকারকে একটি ‘লুটপাটের সমিতি’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের টাকা তারা লুট করেছে, হল-মার্কের টাকা লুট করেছে। প্রতিনিয়ত এরা টাকা লুট করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার রক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর হত্যা দিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে। গত ২৫ অক্টোবর থেকে ২৫ জানুয়ারি এ ৩ মাসে ৩শ ৪ জন নিহত, ৬৫ জনের অধিক গুম হয়েছে। তার মানে হচ্ছে এ সরকারের হাতে জনগণের রক্ত। তাই এ সরকারকে বলা যায় রক্ত পিপাসু সরকার।
প্রায় ৭ বছর পর শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজবাড়ী পৌঁছান খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার আগমনকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত রয়েছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে রাজবাড়ী শহর থেকে দৌলতদিয়া পর্যন্ত নির্মাণ করা হয় শতাধিক তোরণ। ব্যানার-ফেস্টুনে তাকে স্বাগত জানানো হয়। গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর এটিই ঢাকার বাইরে খালেদা জিয়ার প্রথম সফর ও জনসভা।