আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর গত দুই দিনে বিভিন্ন গ্রামে সহিংসতা অগ্নি সংযোগ মারপিট ও লুটের ঘটনায় ৯৮ জনকে আসামী করে গত শুক্রবার রাতে থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ রামপুরা গ্রামে হামলা ঘটনায় ওই গ্রামের মনজুর ইসলাম (২৭) ও পিয়াল (২০) নামের ২ জনকে গ্রেফতার করে গতকাল শনিবার আদালতে প্রেরন করেছেন। এদিকে একটি মহল হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীতে হামলা ও হুমকি প্রদানের অপপ্রচার চালানোর চেষ্ঠা রোধে ব্যপক ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি এলাকায় আর যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর টহল জোড়দার করা হয়েছে। অপর আসামীদেও গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে।
উল্লেখ্য ঃ গত বৃহস্পতিবার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা পর পর আদমদীঘির মুরাদপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আলীর বাড়ীতে হামলা মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আলী ও তার স্ত্রীকে মারপিট, আড়াইল গ্রামে শ্রী ভীমের বাড়ীতে উলঙ্গ নৃত্য হামলা, বড় আখিড়া গ্রামে মারপিট লুট, গত শুক্রবার রামপুরা গ্রামে জাহাঙ্গীর মোল্লা, সহ বেশ কয়েকটি বাড়ীতে হামলা ভাংচুর আসবাব পত্র তছনছ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী জাপা (এরশাদ) ফেরদৌস হাসান বাদী হয়ে আড়াইল গ্রামের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা, মুরাদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আলী বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা, বড় আখিড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে ৩৬ জনকে আসামী করে একটি ও রামপুরা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামী করে পৃথক পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করে। রামপুরা গ্রামের মামলায় পুলিশ গত শুক্রবার রাতে ওই দুই জনকে গ্রেফতার করে। থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী এলাকায় সার্বক্ষনিক টহল জোড়দার করা হয়েছে। এছাড়া একটি মহল হিন্দু সম্প্রদায়কে জড়িয়ে যে অপপ্রচার করছে তা রোধ করতেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে নতুন করে আর কোন ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মহিত তালুকদার জানান তার দলের পক্ষে সম্প্রদায়িক সমপ্রীতি বজায় রাখতে বিভিন্ন এলাকায় সর্তক থাকার জন্য নেতাকর্মিদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আদমদীঘিতে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রকৌশলী স্বামীকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার
বগুড়ার আদমদীঘিতে নব বিবাহিতা স্ত্রীর নিকট যৌতুক দাবী করে নির্যাতন করা সংক্রান্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় পুলিশ গত শুক্রবার স্বামী আরিফুর রহমান সবুজ (২৮) কে ভৈরব তার কর্মস্থল থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানান গ্রেফতারকৃত আরিফুল রহমান আদমদীঘির তালশন গ্রামের আফছার আলীর পুত্র ও ব্র্যাক ভৈরব শাখার ইলকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রিক প্রকৌশলী ।
থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, আরিফুর রহমান ২০১৩ সালের ১৮ অক্টোম্বর একই উপজেলার তারাপুর গ্রামের মোজাহারুল ইসলামের কন্যা মেরিনা ইসলাম সাবাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় নগদ ৩ লাখ টাকা একটি ল্যাপটপ ও ৬ ভরি ওজনের সোনার গহনা দেয় মেয়ে পক্ষ। বিয়ের কিছু দিন পর আরও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে স্ত্রী মেরিনা ইসলাম সাবাকে নির্যাতন করতো। এ ব্যাপারে স্ত্রী বাদী হয়ে স্বামী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান স্বশুড় স্বাশুড়ী ও ননদ সহ ৪ জনকে আসামী করে গত ২৩ ফেব্রæয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করলে এস আই শামিম গত শুক্রবার ভৈরব কর্মস্থল থেকে স্বামী আরিফুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
