কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা যুবদলের আহ্বায়কসহ ৩৪ বিএনপি নেতা-কর্মী কারাগারে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ অফিসে হামলার মামলায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক লাবলুসহ ৩৪বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত।

বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর বিচারক আশরাফুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারের পাঠানোর নিদের্শ দেন।
আদালত ও দলীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর ভেড়ামারা শহরের জাসদ অফিসে বিএনপি নেতা কর্মীরা হামলা করে। হামলার ঘটনায় ভেড়ামারা জাসদের সাধারন সম্পাদক আনসার আলী বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় ৬২ জনের নাম উলে­খসহ অজ্ঞাত ৩-৪’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে গত ২০ জানুয়ারী ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়। জামিন মেয়াদ শেষ হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশক্রমে দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আত্মসর্মপন করে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারের পাঠানোর নিদের্শ দেন।

চাকরির দাবিতে ইবি ভিসি’র কক্ষে ছাত্রলীগের তালা

চাকরির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এবার উপাচার্যের কক্ষে তালা লাগিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েক চাকরিপ্রত্যাশী নেতাকর্মী।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইবি প্রশাসন ভবনে উপাচার্য অফিসে অবস্থান নেয় হিটলার, লেলিন, জাপান, কাশেম, টিটু, মাসুদ, শিমুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। পরে তারা উপাচার্যের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়।
তালা লাগানোর পর নেতাকর্মীরা অফিসে দায়িত্বরত কর্মচারীদের কাছ থেকে জোর করে চাবি ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় উপাচার্য তার অফিসের বাইরে ছিলেন।
এদিকে, ঘটনা জানাজানি হলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রকৌশল সেকশনের সহযোগীতায় উপাচার্য অফিসের তালা ভেঙে ফেলেন।
এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসাইন ও ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তবে তালা ভাঙার সময় ছাত্রলীগের কাউকেই দেখা যায়নি।
পরে উপাচার্য কার্যালয়ে আসেন। জরুরি বৈঠক ডেকে অপরাধকারীদের নামে মামলা এবং কঠোর শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। তবে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বার বার অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণ হিসেবে ইবি প্রশাসন ও ছাত্রলীগের ব্যর্থতাকে দায়ী করছে।
উপাচার্য অফিস সূত্রমতে, ইবির বর্তমান প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলতেই বার বার এ ঘটনা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এদিকে চাকরি প্রত্যাশীরা জানান, কয়েক দিন আগে উপাচার্য কোনো কিছুর নিয়ম না মেনে অ্যাডহক ভিত্তিতে বিএনপিপন্থী কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নিয়োগ পেয়ে বিএনপিপন্থী লোকজনকে বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগ দেয়ায় তারা ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, অফিস তালা দেয়ার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারাই জড়িত থাকুক না কেন,তাদের খুব দ্রুত বিচার করা হবে।