রাজশাহী প্রতিনিধি : দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনের তাগিদে উপার্জনের বিকল্প অন্য আর কিছু নেই; দিন মজুর সর্বস্তরের কর্মজীবিদের ছুটতে হয় স্ব-স্ব কর্ম স্থলে। তড়িৎ পৌছানোর জন্য প্রয়োজন হয় বাহন। দেশের সরকারী আইন লংঘন করে ২-৩ প্রকার যান চলাচল করলেও অধিকাংশ যানবাহন বৈধ। উভয় জীবিকা নির্ভরের কারণে সকাল সন্ধ্যা অবিরাম ছুটতে। তাতে সঠিক নিয়ম পালন করা না করাটা জরুরী নয়। প্রতিফল অনাকাঙ্খিত মৃত্যু। ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য। প্রধান সড়কে গাড়ি পার্কিং, এলামেলো ভাবে গাড়ি চালানো, ওভার ট্রেকিংসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে অবৈধ স্থাপনা।
রাজশাহী শহর দিয়ে ঢাকার প্রধান সড়ক। শহরের বিভিন্নরাস্তা প্রদক্ষিণ করে লক্ষিপুর মোড়, সাহেব বাজর, জিরো পয়েন্ট, ভদরার মোড়, কাটাখালি, বানেশ্বর এর প্রত্যেক স্থানে রয়েছে অনিয়ম। ট্রাফিক পুলিশ তার স্বাধীন মতো কোথায় চুপটি করে বসে চা-সিগারেটপান করছে। সার্জন মাঝে মধ্যে টহল দিতে দেখা যায়। অন্য কোন কাজ প্রাধান্য না পেলেও র্যাপ-৫ এর সদর দপ্তর প্রধান গেটে, সোনাদিঘীর মোড়, সিএনবির মোড়, লক্ষীপুর মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে দুই চারজন পুলিশ কন্সটেবল নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীদের হয়রানী করাটাই তাদের নিত্য দিনের চাকুরী। গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের প্রধান সড়কগুলোর দায়িত্বে ক্যাম্পিং করেছিল মাত্র কয়েক দিনের জন্য। অথচ পুলিশদের যথাযথ ট্রেনিং দিয়ে দায়িত্ব অর্পন করার পরেও ফলাফল আশা খুবই ক্ষিণ। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এই এলাকা গুলি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু সেখানেও ট্রাফিক আইন সেবা ক্ষিণ। যার ফল পূর্ণ করতে হয় মূল্যবান জীবন দিয়ে। দেশের সরকারসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে হতে হবে তৎপর ও বিনয়ী। তাহলেই সম্বব সঠিক ট্রাফিক আইন প্রতিষ্ঠা।