জসীম উদ্দিন তালুকদার, রাঙামাটি : পাহাড় চূড়ায় দেশের অন্যতম গভীর প্রাকৃতিক হ্রদ হল ‘রাইংখ্যং পুকুর’। রাঙামাটি জেলার ফারুয়া ইউনিয়নে ওই গভীর প্রাকৃতিক হ্রদটির অবস্থান। ফারুয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বড়থলি এলাকার এই প্রাকৃতিক হ্রদটি রাইংখ্যং পুকুর নামে পরিচিত। প্রায় ৩০ একর আয়তনের হ্রদটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ৫শ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এই হ্রদের নিকটে এিপুরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাস।
হ্রদটি সম্পর্কে স্থানীয়দের কাছ থেকে নানান কল্প কাহিনী শোনা যায়। তা হল- এই হ্রদের পানি স্বচ্ছ হওয়ায় সূর্যের আলো আবহাওয়া ও মেঘের উপর ভিত্তি করে পানি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। তবে মাঝে মধ্যে এই হ্রদের পানি আকস্মিকভাবে লাল হয়। স্থানীয় অধিবাসীরা মনের আশা পূরণ হওয়ার আশায় এই হ্রদে নানান পূজা অর্চনা করেন। ভূতত্ত¡বিদগণ এই হ্রদকে ২ হাজার বছর আগে আগ্নেয়গিরির সৃষ্ঠ লাভামুখ বলে ধারণা করেন। চারদিক সবুজ অরণ্য ঘেঁষে পাহাড় চূড়ার উপর প্রাকৃতিক হ্রদের এমন দৃষ্টিনন্দন রূপ যে কোন সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষকে মুগ্ধ করে। কিন্তু অতি দুর্গম হওয়ায় দেশ বিদেশের পর্যটকরা প্রাকৃতিক হ্রদটির সৌন্দর্য্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন থেকে ওই স্থানে পায়ে হেঁটে যেতে ৩ দিন সময় লাগে। আর বিলাইছড়ি উপজেলা সদর থেকে ফারুয়া হয়ে ওখানে যেতে সময় লাগে ৪ দিন। সাধারণত ওই এলাকার অধিবাসীরা বড়থলী থেকে ১ দিনে পায়ে হেঁটে বান্দরবানের রুমায় এসে থেকে পরদিন ওখান থেকে সড়ক পথে চন্দ্রঘোনা নতুবা রাঙামাটি হয়ে বিলাইছড়ি এসে ১ দিন পর ফারুায় যায়। এভাবে তাদের আসতে ৩-৪ দিন সময় লাগে। বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অমর কুমার তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বড়থলির রাইংখ্যং পুকুেরর কিছু দূরে বার্মা ও ভারতের অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। ওই প্রাকৃতিক হ্রদ থেকে ১ ঘন্টা পায়ে হেঁটে সীমান্তে পৌঁছা যায়।