ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতকে সড়ক দূর্ঘটনায় মমশর আলী (৫০) নামের একবৃদ্ধের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে টেম্পুচালকসহ ৪যাত্রী। গতকাল সোমবার সকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের গড়গাঁও এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। মমশর আলী উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের মৃত সাহেব আলীর পুত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জগামী যাত্রীবাহী একটি অটোটেম্পু (সিলেট ত-০৫-১০৫) গড়গাঁও এলাকায় পৌছলে জামুরাইল থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির পিকআপ (সিলেট ন-১১-৪৭১)’র আড়াআড়িভাবে অটোটেম্পুকে ধাক্কা দিলে টেম্পু চালকসহ ৪যাত্রী আহত হয়। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মমশর আলীর মৃত্যু ঘটে। ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মর্তুজ আলীর পুত্র আহত টেম্পু চালক লিটন মিয়া (২৫) ও অপরযাত্রী বড়কাপন টুকেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সমর আলী (৫৫)’র অবস্থা আশংকাজনক। আহত অন্যদু’জনের পরিচয় জানা যায়নি। পিকআপ চালক জামুরাইল গ্রামের বাসিন্দা কয়েছ মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ছাতকে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন সম্পন্ন
ছাতক উপজেলার ১শ’ ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি এবং কমিউনিটিসহ ১শ’ ৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়। পৌর শহরের বাগবাড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ১৭জন। এর মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ৫ম শ্রেনীর শিমুল দাস, মিনহাজ মাসুদ রিফাত, ৪র্থ শ্রেনীর আহনাফ মাহমুদ রাফিদ, হুমায়রা জান্নাত মাইশা, ৩য় শ্রেনীর øেহা দাস, জান্নাত মেহজাবিন ইকরা এবং সম্মিলিতভাবে ৭ম স্থান অধিকারী ৩য় শ্রেনীর অস্মিতা দেবনাথ কথা নির্বাচিত হয়েছে। মন্ডলীভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রার্থী ছিলেন ১২জন। বিজয়ী হয়েছেন ৫ম শ্রেনীর অনিক দাস, ফুরকান আহমদ ফয়েজ, ৪র্থ শ্রেনীর প্রদীপ ভট্টাচার্য্য পান্না, শুভম চৌধুরী স্বচ্ছ, রুহান হোসেন, ৩য় শ্রেনীর আজহারুল ইসলাম, শোভন আহমদ। কুমনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪জন প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী হন ৭জন শিক্ষার্থী।
ছাতকে ত্রুটিযুক্ত সেতু ভেঙ্গে ফেলতেইউএনও’র নির্দেশ উপেক্ষিত
ছাতকে নোয়ারাই ইউনিয়নের নোয়াখালের উপর সেতু নির্মাণে অনিয়ম ও ত্রুটি ধরা পড়ায় নির্মিত অংশ ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দু’সপ্তাহেও কার্যকর হচ্ছেনা। সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাকিল এন্টারপ্রাইজ সাইফুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এ নির্দেশ অমান্য করে যাচ্ছেন। গত ১৩ফেব্র“য়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনুর আক্তার পান্না স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাকিল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত¡াধিকারী সাইফুল ইসলামকে ত্রুটিযুক্ত নির্মাণাধিন সেতুর অংশ ৭দিনের মধ্যে অপসারন পূর্বক সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজাইন ও ড্রইং মোতাবেক নতুন করে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সাইফুল ইসলাম অদৃশ্য ক্ষমতা বলে ইউএনও’র নির্দেশ উপেক্ষা করে সেতু অপসারনসহ নতুন করে সেতুর কাজ শুরু করেননি। এদিকে নোটিশ অনুযায়ী ৭দিনের মধ্যে নতুন কাজ শুরু না করা হলে অন্যথায় ঠিকাচুক্তি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলা হলেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এখনো কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মির্জাপুর গ্রামে নোয়াখালের উপর ২৭লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৬ফুট দীর্ঘ আরসিসি সেতু নির্মাণ কাজ গ্রহন করে দোয়ারার বাংলাবাজারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাকিল এন্টারপ্রাইজ। কাজ গ্রহনের পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণে নিæমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করলে সেতুটির বিভিন্ন অংশ সম্পন্নের আগেই ধ্বসে পড়তে থাকে। ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অধিনে ২৭লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধিন সেতুর নির্মাণ কাজ ফাইলিং, ইটসলিন ও সিসি ঢালাই ছাড়াই দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কাজ শুরু করে এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে কিছু অংশ নির্মাণের পর সেতুটিতে সৃষ্টি হয় বিশাল ফাটল ও ঢালাই অংশ থেকে পাথর, বালু খসে পড়তে থাকে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা ৯ফেব্র“য়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেতুটি সরজমিন পরিদর্শন করলে সেতু নির্মাণে ব্যাপক দূর্ণীতি ও অনিয়ম ধরা পড়ে। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইনুর আক্তার পান্না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সেতু ভেঙ্গে নতুন করে তৈরি করার নির্দেশ দেন।
ছাতক উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ৮প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
ছাতকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯প্রার্থীর মধ্যে ৮প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। গত ১৯ফেব্র“য়ারি উপজেলা নির্বাচনে কাষ্টিং ভোটের এক-অষ্টমাংশ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে যারা জামানত হারিয়েছেন তাদের মধ্যে গিয়াস মিয়া (চিংড়ি মাছ) প্রাপ্ত ভোট ১০হাজার ৩শ’৮৩, মোহাম্মদ রূপারাজা চৌধুরী (আনারস) প্রাপ্ত ভোট ১হাজার ৩শ’৬২, ডাঃ আফসার উদ্দিন (মোটরসাইকেল) প্রাপ্ত ভোট ৪শ’৫৬, ফজলুর রহমান (ব্যাটারী) প্রাপ্ত ভোট ২শ’৪। তবে ডাঃ আফসার উদ্দিন ও ফজলুর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলেও নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন ৪প্রার্থী। তাদের মধ্যে এড. আব্দুল জলিল (উড়ো জাহাজ) প্রাপ্ত ভোট ১০হাজার ২শ’৩৪, এড. শাহাব উদ্দিন (তালা) প্রাপ্ত ভোট ১১হাজার ২শ’৯৭, ফরহাদ হোসেন মিছবাহ (বই) প্রাপ্ত ভোট ৭হাজার ৩শ’৯৩, সিতাব আলী (চশমা) প্রাপ্ত ভোট ৫হাজার ৯শ’২৮ পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।