মো. ফরিদুজ্জামান, (শ্রীবরদী) শেরপুর : শেরপুরের শ্রীবরদীতে অটোরিক্সাচালক ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সাজন কুমার (১৭) ও আব্দুর রহমান (১৮) নামে ২ কলেজশিক্ষার্থী আহত হয়। ২৪ ফেব্র“য়ারী সোমবার সকালে অটোরিক্সা ভাড়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র এপিপিআই উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মিজান হোটেলের সামনে ওই সংঘর্ষ, ভাংচুর ও বিক্ষোভের ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে শ্রীবরদী সরকারী কলেজের ৬ শিক্ষক কলেজ গেইট থেকে অটোরিক্সা করে মিজান হোটেলের সামনে গিয়ে ২০ টাকা ভাড়া বের করে দেয়। এতে অটোরিক্সা চালক রৌশন ভাড়া বাড়িয়ে ৩০ টাকা দাবি করে। পরে ওই কলেজের ইংরেজি শিক্ষক মুকিবুর রহমান বাড়তি ১০ টাকা ভাড়া দিতে অস্বীকার করলে অটো রিক্সা চালক ওই ২০ টাকা ভাড়াকে ওয়েটিং ভাড়া হিসেবে দাবি করেন। ইংরেজি প্রভাষক মুকিবুর রহমান অটো রিক্সা চালকের ইংরেজি ‘ওয়েটিং’ শব্দটির অর্থ জানতে চাইলে দুজনের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এতে কলেজের ৬ প্রভাষক নিজেদেরকে অপমানিত বোধ করে ঘটনাটি কলেজ ছাত্রদের মধ্যে অবহিত করলে কলেজ ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অটো রিক্সা স্ট্যান্ডে ৫টি অটো রিক্সা ভাংচুর করে। এদিকে ঘটনাটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থানে থাকা অটোরিক্সাচালকরা একত্রিত হয়ে ছাত্রদের পাল্টা ধাওয়া করে। এতে একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্র সাজন কুমার ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুর রহমান আহত হয়। আহতদের শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যায়। পরে খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাটি মিমাংসার ব্যাপারে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শ্রীবরদী থানা পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ এক জরুরী বৈঠকে বসেছেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা বেলাল উদ্দিন তরফদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।