ইয়ানুর রহমান, যশোর : নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আর বাকি মাত্র তিনদিন। এর আগে দফায় দফায় বৈঠক করেও উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী দিতে ব্যর্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। যশোর জেলা কমিটির ৮ নেতার গোয়ার্তুমির কারনে ব্যর্থ আওয়ামীলীগের ভরাডুবির শঙ্কা
রোববার দিনব্যাপী বৈঠক করে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই যশোর ত্যাগ করলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ঘটনায় উপজেলায় দলের ভরাডুবির আশঙ্কায় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে শার্শায় চেয়ারম্যান পদে সিরাজুল হক মঞ্জু ও ঝিকরগাছায় মুসা মাহমুদ তৃনমুল নেতাদের সমর্থনে প্রার্থী রয়েছেন। আর জেলা কমিটির মাত্র ৮ নেতার সমর্থনে প্রাথী হয়েছেন আব্দুল মান্নান মিন্নু ও মনিরুল ইসলাম।
ওই ২ উপজেলায় তৃনমুল নেতাদের সমর্থনের প্রার্থীদের বসিয়ে দিয়ে দলের একক প্রার্থী বাছাইসহ সদরে দলের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাই করতে রোববার যশোর আসেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হোসেন, সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ নেতারা।
তারা জেলা কমিটিসহ স্থানীয় নেতাদের সাথে দলীয় কার্যালয় ও সার্কিট হাউজে একাধিক বার বৈঠক করেন। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় রাতেই নেতারা যশোর ত্যাগ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম জানান, ২৬ ফেব্র“য়ারি পুনরায় বৈঠক করে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া ঝিকরগাছার তৃনমুল নেতাদের সমর্থনের প্রার্থী মুসা মাহমুদকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে তার পক্ষের নেতা শেখ আফিল উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম অনুরোধ করা হয়েছে। তবে শার্শার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপে ১৯ ফেব্র“য়ারি নির্বাচন হওয়া জেলার মধ্যে একমাত্র অভয়নগরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় হওয়ায় আওয়ামী লীগে টনক নড়ে। এজন্য ২৭ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে শার্শা ও ঝিকরগাছার তৃনমুল নেতাদের সমর্থনের প্রার্থীদের বসিয়ে দিতে বৈঠক করতে যশোর আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি।