মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী এমপি বলেছেন, ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শমশেরনগরে সর্ব প্রথম মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি পাগল মানুষজন একজন ক্যাপ্টেনসহ ৯ জন পাক সেনা সদস্যকে হত্যা করেছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় পরবর্তীতে পাক সেনারা শমশেরনগর ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকে নিরিহ লোকজনদের ধরে এনে নির্যাতনের পর শমশেরনগর বিমান বন্দরের বধ্যভ‚মিতে হত্যা করেছিল। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার এমন অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ দেশের ১৩টি স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছেন। এই ১৩ টি স্মৃতিসৌধের একটি শমশেরনগরে করা হয়েছে। আমিও এ এলাকায় যুদ্ধ করেছি। এখানকার সবার সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমার প্রিয় একটি স্থান হলো শমশেরনগর। শনিবার রাত পৌনে ৮টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর মৈত্রী স্কয়ারে মন্ত্রীকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে ও আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি সদস্য তাজুদ আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংবর্ধিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মন্ত্রীর সহধর্মিনী সৈয়দা সাহারা মহসীন, ঢাকার বারডেম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সি এম দেলোয়ার রানা, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার লিলি, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) সাজ্জাদুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আং মুমিন তরফদার, চা শ্রমিক নেতা রাম ভজন কৈরী, মন্ত্রীর সহযোদ্ধা ডাঃ সি এম দেলওয়ার রানা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক জেলা কমান্ডার শফিকুর রহমান, লিয়াকত আলী, অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, তাজুদ আলী, জাপা নেতা দুরুদ আলী, আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন প্রমুখ। এছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চিনু সহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত আওয়ামীলীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা শমশেরনগরের উপর গুরুত্বারোপ ও অবহেলিত জনপদ উল্লেখ করে এখানে প্রশাসনিক থানা ও পৌরসভায় উন্নীত করণ, বিমানবন্দর চালু, আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ, ওভারব্রিজ স্থাপন, শমশেরনগর বাজার উন্নয়ন ও এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনসহ নানা দাবি জানালে মন্ত্রী পর্যায়ক্রমে সব দাবীগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী এমপি সাবেক চিফ হুইপ ও বর্তমান এমপি (কমলগঞ্জ আংশিক-শ্রীমঙ্গল) উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ এর বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
