নরসিংদী প্রতিনিধি : ট্রেন-ট্রলির মারাত্মক সংর্ঘষের পরও ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছে আন্তঃনগর ট্রেন জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস। বেঁচে গেছে শত শত যাত্রীর প্রাণ। ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে ক্ষুদে একটি ট্রলি। ২২ ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা আড়াইটায় ঢাকা-সিলেট রেল সড়কে নরসিংদী স্টেশন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, বেলা আড়াইটায় নরসিংদীর সিনিয়র সাব- এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার অফিসের একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলি আমিরগঞ্জ স্টেশনের দিক থেকে কাঠের সিøপার নিয়ে নরসিংদীর দিকে আসতে ছিল। ট্রলিটিতে ৪ জন ট্রলিম্যান ছিলো। ট্রলিটি নরসিংদী স্টেশনের পূর্ব হোম সিগন্যাল অতিক্রম করে ব্রাকের ভিতর ঢোকার সাথে সাথে পিছন দিক থেকে দ্রæতবেগে আসা সিলেট থেকে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এ অবস্থায় পিছনের দিকে অদূরে ট্রেন দেখে ৪ জন ট্রলিম্যান তাৎক্ষণিকভাবে ট্রলি থেকে ঝাপিয়ে পড়ে নিজেরা আত্মরক্ষা করে। মূহূর্তের মধ্যেই ট্রেনটি দ্রæতবেগে ট্রলিটিকে ধাক্কা দিয়ে নরসিংদী স্টেশন প্লাটফরমের সামনে এসে থেমে। এসময় ট্রেনের প্রচন্ড ধাক্কায় ট্রলিটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে মুল লাইনের পাশে পড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় ট্রেনের যাত্রী ও স্টেশনে উপস্থিত শত শত যাত্রী হতভম্ব হয়ে পড়ে। বেলা ৩ টার দিকে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে নরসিংদী স্টেশন ছেড়ে চলে যায়।
গত ২০১১ সন এর ০১ নভেম্বর থেকে নরসিংদীতে পৌর মেয়র লোকমান হত্যাকান্ডের পর স্টেশনে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করে বিক্ষোভকারীরা। এতে স্টেশনের সিগনালিং ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে বর্তমানে আমিরগঞ্জ স্টেশন এবং জিনারদী স্টেশনের মাধ্যমে সিগনালিং পদ্ধতির মাধ্যমে ট্রেন চলাচল করে থাকে। এ ব্যাপারে নরসিংদী স্টেশন মস্টার ও রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কোন কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।