কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুর সদর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ও মধ্যকুল গ্রাম সংলগ্ন হরিহর নদী ওপর ব্রিজটি দীর্ঘ দিনেও নির্মাণ না হওয়ায় ১০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে এলাকার শত শত মানুষসহ স্কুল কলেজগামি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। ব্রিজটি নির্মাণে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্র“তি দীর্ঘ ১৬ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি।
জানাগেছে, কেশবপুর সদর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ঠাকুরপাড়া ও ব্রহ্মকাটি শেখ পাড়ার ভেতর দিয়ে রাস্তাটি হরিহর নদী পার হয়ে মধ্যকুল মহিলা দাখিল মাদ্রাসার পাশ দিয়ে যশোর সাতক্ষীরা সড়কে মিশেছে। স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রতিদিন শত শত লোক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। কিন্তু মাঝখানে হরিহর নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় পাশ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর, মধ্যকুল, ব্যাসডাঙ্গা, মুজগুন্নি, হাবাসপোল, হাসাডাঙ্গা, ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামসহ কমপক্ষে ১০ গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য ৭ কিলোমিটার ঘুরে কেশবপুর শহরে আনতে হয়। এ দূর্ভোগ লাঘবে ১৯৯৮ সালে এলাকাবাসী রাস্তাসহ হরিহর নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেক এমপি বরাবর আবেদন করেন। এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিজটির প্রাক্কলনে ৩০ লাখ ২৯ হাজার ৯২ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে প্রকল্পটি শুধু মাত্র হালকা যানবাহন ও লোক চলাচলের জন্য কম খরচে পুল নির্মাণ করা যাবে এমন ভাবে প্রাক্কলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু প্রাক্কলনে বিলম্ব হওয়ার পাশাপাশি অন্য দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসায় ব্রিজটি আর নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর পার হয়ে গেলেও ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পটি ফাইল বন্দী হয়ে পড়ে আছে। ওই এলাকার জনগনের প্রাণের দাবী হরিহর নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেক পতœী কেশবপুরে সাংসদ জনপ্রশাসন মন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলা উদ্দীন আলা বলেন, হরিহর নদী রামচন্দ্রপুর ও মধ্যকুল গ্রামকে বিছিন্ন করে রেখেছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এলাকাবাসী ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণে দাবি জানিয়ে আসছে।