স্টাফ রিপোর্টার : সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ের রিটে শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে হাই কোর্ট। শেরপুর সদর উপজেলার আলমগীর হোসেনসহ শতাধিত ব্যক্তির দায়ের করা এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারক মীর্জা হোসেন হায়দার ও মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ২০ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার এ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বলে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ও রিটের বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. সাঈদ আহম্মেদ রেজার স্বাক্ষরিত তার প্যাডে লিখিত অভিমত জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত বছরের ৫ নভেম্বর শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ এলাকার শতাধিক ব্যাক্তির সাথে জামালপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের ‘উপজেলা’ সীমানা নির্ধারন সক্রান্ত একটি রিট আবেদন করা হয়। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশনের উলেখিত বিচারকগণ শেরপুর সদর উপজেলার সীমানা নির্ধারণ ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেন।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, আমি নির্বাচনী কাজে অফিসের বাইরে আছি। নির্বাচন স্থগিতের একটি খবর আমার কাছে এসেছে। কিন্তু যেহেতু কোন কাগজ আমার হাতে নেই সেহেতু এ বিষয়ে স্পষ্ট করে আমি কিছু বলতে পারছি না। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আইরীন ফারজানা বলেন, সুুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর প্যাডে নির্বাচন স্থগিতের একটি তথ্য আমি পেয়েছি। কিন্তু অফিসিয়ালী আমি এখনও কোন কাগজপত্র পাইনি। তাই এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।
এ রায়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী ও রিট পিটিশন বাদী পক্ষের সাঈদ আহম্মেদ রেজা নির্বাচন স্থগিতাদেশের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উলেখ্য, চতুর্থ ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাচনের ভোট গ্রহনের তারিখ ছিল ২৩ মার্চ। এছাড়া এ উপজেলার মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২৩ ফেব্র“য়ারী।