তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা : কুমিলা-৬ (আদর্শ সদর) আসনের দুই দুই বারের সাংসদ হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার সহ ৭ জনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. মোয়াজ্জেম হোসাইন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদেরকে এ আদেশ দেন।
জানা যায়- দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা (দ.) জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ১৪দলীয় সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আফজল খান এডভোকেটের পুত্র কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদ পারভেজ খান তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন এমপি’র বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণ খেলাপীর অভিযোগ করেন। এতে জেলা রিটার্নিং অফিসার ওই প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিনের প্রার্থীতার বৈধতা সংক্রান্তে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ করে দেন। এ ঘটনায় মাসুদ পারভেজ খান হাইকোর্টে রিট পিটিশন (নং- ২৪/১৪) দাখিল করেন। এ রিট মামলায় ৭ জনকে বিবাদী করা হয়। বিবাদীরা হলেন- আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, কুমিলা জেলা রিটার্নিং অফিসার, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি। বিচারপতি এম. মোয়াজ্জেম হোসাইন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানী শেষে ১৯ জানুয়ারি বিবাদীদেরকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ দিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন- কুমিলা জেলা আওয়ামীলীগে সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও অধ্যক্ষ আফজল খানের মধ্যে দ্ব›দ্ব গ্র“পিং ও একে অপরকে ছাড় না দেয়ায় এ প্রতিহিংসার রূপ নেয়। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের দু’গ্র“পের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।