জাকির হোসেন, ছাতক (সুনামগঞ্জ) : কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ছাতক উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহন শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে-সাথে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। প্রতিটি কেন্দ্রেই পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল উলেখযোগ্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় শতকরা ৬০ভাগ ভোট পড়েছে বলে দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টরা ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোটের ছড়াছড়ির অভিযোগ করেছেন। এমপি সমর্থিত প্রার্থী কাপ-পিরিচ প্রতিকের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে আমেরতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোলাআতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকাল প্রায় ১১টায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে ঘন্টাখানেক মোলাআতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহন বন্ধ করে দেয়া হয়। কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক লুৎফুর রহমান সরকুম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ কর্মকর্তা তা অস্বীকার করেন। স্থানীয় এমপি সমর্থিত (কাপ-পিরিচ) প্রার্থীর সমর্থকদের বেপরোয়া আচরনে বিভিন্ন কেন্দ্রের এজেন্টরা দায়িত্ব ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার ৯৬টির অধিকাংশ কেন্দ্রই ছিল এমপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের দখলে। বুথের ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার ঘটনায় মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা প্রভাষক বরুন কুমার চৌধুরী আ.লীগ নেতা এড. শংকর দেবকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এ সময় কেন্দ্রের বাইরে থাকা জনতার রোষানলে পড়ে এ নেতা লাঞ্ছিত হন। এছাড়া আমেরতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোলাআতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই বিষয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে আব্দুল হাশিম (৪০), কাজল মিয়া (৩০) ও আবুল হাসনাত (২৭)সহ অন্তত ১০ ব্যক্তি আহত হয়। এদিকে মোটরসাইকেলে ভোট কেন্দ্রের আশপাশে মহড়া দেয়ার ঘটনায় ৪বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকেলে নোয়ারাই ইউনিয়নের লক্ষিবাউর ভোট কেন্দ্র থেকে বাতিরকান্দি গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র আলমগীর হোসেন (২০), একই গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র মোস্তফা মিয়া (৩২), আফতাব আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম (২২) ও লক্ষিবাউর গ্রামের আব্দুল অদুদের পুত্র মামুন রেজা (১৯)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
![](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2023/11/final01.gif)