নরসিংদী প্রতিনিধি : উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে বুধবার নরসিংদী জেলার পলাশ ও বেলাব উপজেলায় উৎসাহ ও উদ্দীপনাহীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত পলাশ উপজেলার ৫০টি এবং বেলাব উপজেলার ৪৮টি মিলিয়ে মোট ৯৮ টি ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন করা হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে কোথাও কোন বড়ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে পলাশ উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ১৯ দল সমর্থিত মাওলানা হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন ভোটগ্রহন চলাকালে সকালের দিকে ভিরিন্দা, ফুলদিরটেক, ঘোড়াশাল সারকারখানাসহ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ জাবেদ হোসেনের লোকেরা তার এজেন্টদেরকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। এসব কেন্দ্র সমূহে পরিকল্পিতভাবে ভোট কারচুপি করা হয়েছে। বেলাব ও পলাশ উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় বেশীরভাগ কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। ভোট কেন্দ্রগুলোর বাইরে যেমন লোকজনের ভীড় ছিলনা তেমনই কেন্দ্রগুলোতেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেরই মহিলা বুথগুলোতে মহিলা ভোটারদের লাইন দেখা গেছে। কিন্তু পুরুষ বুথগুলোতে কোন লাইন দেখা যায়নি। যারা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিয়েছে তারাও ছিল অনেকটা প্রাণহীন। তাদের চোখে-মুখে কোন আনন্দের ছাপ দেখা যায়নি। যারা রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নন এমন সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোট দেয়ার ব্যাপারে তাদের খুব একটা আগ্রহ নেই। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না পারার ক্ষোভ জনগনের মধ্যে এখনো ছাই চাপা আগুনের মতই জ্বলছে। কোন কোন ভোটার জানিয়েছেন, ক্ষমতাহীন উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়ে কোন লাভ নেই। এসব চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চেয়ারে বসে দেশের জনগনের জন্য কিছুই করতে পারবে না। উপরন্তু তারা হবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কেরানী। জেলা প্রশাসকদের হুকুমবরদার। ভোট দিয়ে কেরানী তৈরী করার কোন যৌক্তিকতা নেই। শুনেছি ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্স অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যানদের পদমর্যাদা নাকি পৌরসভার মেয়রদের নিচে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এধরনের মূল্যহীন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ব্যাপারে জনগনের মধ্যে কোন আগ্রহ নেই।