এম.আবদুল্লাহ আনসারী, পেকুয়া (কক্সবাজার) : পেকুয়ায় লবণ মাঠে বৃষ্টির পানির সাথে কৃষকের কান্নার জলে অতিকষ্টের উৎপাদিত লবণ ভাসছে। ভরা লবণ মৌসুমে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে এখনো অব্যাহত থাকায় কোটি টাকার লবণ ভেসে যাওয়ায় কয়েক হাজার কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
জানা যায়, এবছর লবণ মাঠের মাত্রাতিরিক্ত লাগিয়ত ধারণাতীত লবণের দরপতনে কৃষকের মাঠে মারা যাওয়ার উপক্রম সেখানে হঠাৎ বৃষ্টিতে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৮হাজার কৃষকের আনুমানিক ৫০ হাজার মণ লবণ বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে ও আজ থেকে বৃষ্টি বন্ধ হলেও আগামী ১ সপ্তাহ লবণ উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার ওপরে বলে লবণ চাষীরা জানিয়েছে। উপজেলার রাজাখালী, মগনামা, উজানটিয়া পেকুয়ার কিছু অংশ, বারবাকিয়া ও টইটং এর কিছু অংশে লবণ চাষ হয় প্রায় ৮হাজার একর জমিতে। মৌসুমের শুরু থেকে লবণের সন্তোষজনক দাম থাকলেও সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের দৌরত্বে প্রতিবেশী দেশ থেকে লবণ আমদানীর কারণে দেশীয় লবণ শিল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়ে লবণের দাম পানির দামে পরিনত হয়। অনেক জায়গায় কৃষকরা লবণ মাঠ ছেড়ে দিয়েছে চলমান উৎপাদন খরচ তুলতে না পারার ভয়ে সেখানে হঠাৎ প্রাকৃতিক বৃষ্টির কবলে পড়ে লবণ ভেসে যাওয়া ও আরো কয়েক দিন লবণ উৎপাদন করা সম্ভবপর না হওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। কর্মহীন হয়ে সংসার চালাতে শংকায় ভোগ কয়েক হাজার দিনমজুর লবণ শ্রমিক। প্রান্তিক কৃষকরা জানিয়েছেন বিনিয়োগের অর্ধেকও তুলতে পারবেনা নিশ্চিত হয়ে এখন তারা দেউলিয়ার পথে। অপর দিকে লবণ জমির মালিকরাও তাদের বকেয়া লাগিয়তের টাকা না পাওয়ার আশংকায় ভোগছে। পলিথিন সরবরাহকারীরা ও দাদন ব্যবসায়ীরাও কৃষকদের কাছে দেয়া বিনিয়োগ ফিরে না পাওয়ার আশংকায় ভোগছে। সর্বোপরি লবণ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকলে ক্ষতির ভারে আক্রান্ত হয়ে হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে।