এম এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : ঘন ঘন ও লাগামহীন বাসা ভাড়া বৃদ্ধিতে স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবন-জীবিকা সংকটে পড়ে। এই অভিযোগ ভাড়া বাসায় বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষের। এই প্রবণতা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন কর্মপরিকল্পনা তৈরিরও নির্দেশনা দিয়েছেন। বস্তিবাসীরা কম ভাড়ায় যাতে বাসা পান ও বসবাস করতে পারেন সেজন্য কাছাকাছি জায়গায় আবাসন প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা নিতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অফিস করে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পোশাক শ্রমিকদের বেতনের একটা বিরাট অংশ বাসা ভাড়া বাবদ চলে যায়। বাসা মালিকদের ঘন ঘন ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এ সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে এখন। পোশাকখাতে অস্থিরতার এও একটি বড় কারণ হিসেবে চিহিৃত হয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কি ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বাড়ি মালিকদের লাগামহীন বাসা ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সরকার বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, ঈশ্বরদী ও নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড এলাকায় চারটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডরমিটরি নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের ১৪ হাজার ৪শ’ কর্মজীবী নারীর ইপিজেডের পোশাক কারকানায় কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় প্রায় ৫শ’ একর জায়গা জুড়ে গার্মেন্টস পলী করা হচ্ছে যাতে পোশাক কারখানাসহ পোশাক শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন কাজ করবে।