কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং বিকেল ৪টায় চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ্যাড.আ.স.ম.আক্তারুজ্জামান মাসুম। তাকে সার্বিক সহযোগীতা করেন নির্বাচন কমিশনার এ্যাড. আকতারুজ্জামান ও এ্যাড.আমিরুল ইসলাম (৩)। এ নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে ৪০জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও জুনিয়র সদস্য পদের প্রার্থী এ্যাড. রাজিব আহসান তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার পর নির্বাচনে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এবারের নির্বাচনে প্রকাশ্য কোন প্যানেল ছাড়াই সহাবস্থানে থেকে আইনজীবীগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে সভাপতি ও সম্পাদক পদ সহ বিভিন্ন পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতার জন্য মাঠে নেমেছেন। নির্বাচন কমিশনের চুড়ামত্ম তালিকা অনুসারে এবার ৪২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। গতকাল পর্যমত্ম নির্বাচন কমিশনের পাওয়া তথ্যানুসারে এবারের নির্বাচনে সভাপতি ১টি পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন, এরা হলেন-বর্তমান সভাপতি কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির বার বার নির্বাচিত সভাপতি, সিনিয়র আইনজীবী ও ঢাকা ‘ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. সিরাজ-উল-ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির কয়েক বারের সাবেক সভাপতি, সিনিয়র আইনজীবী কুষ্টিয়া ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. আমিরুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র খ্যাতনামা আইনজীবী এবং আইনজীবীদের পেশাগত ক্ষেত্রে পরম সহযোগি বন্ধু সদালাপী ও বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এ্যাড. সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সিনিয়র সহ-সভাপতি ১টি পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন-সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. আব্দুল জলিল, এ্যাড.আব্দুল মান্নাফ, ও এ্যাড.মতিয়ার রহমান-১। সহ-সভাপতি ১টি পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন-এ্যাড. এমদাদুল হক তারা ও আব্দুল খালেক-১।
সাধারণ সম্পাদক ১টি পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন-কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. নুরুল ইসলাম দুলাল ও কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র খ্যাতনামা আইনজীবী এবং আইনজীবীদের পেশাগত ক্ষেত্রে পরম সহযোগি বন্ধু বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এ্যাড. মীর ছানোয়ার হোসেন। এসব হ্যাভিওয়েট প্রার্থীরা এখনো কোন প্যানেলে বিভক্ত না হয়েই ভোট প্রার্থনার জন্য ইতোমধ্যেই ক্যাম্পিং শুরু করেছেন। অন্যান্য পদের প্রার্থীদের জন্য এখনো প্রকাশ্যে ভোট দিতে কিংবা ভোট করতে বলতে মুখ খোলেননি কেউই। এসব পদের প্রার্থীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকেই ভোট চাইছেন ভোটারদের নিকট। যুগ্ম সম্পাদক ১টি পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন-এ্যাড.নিজাম উদ্দিন, এ্যাড.এস এম মনোয়ার হোসেন মুকুল ও এ্যাড.সাজ্জাদ হোসেন সেনা। লাইব্রেরী সম্পাদক ১টি পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন-এ্যাড.শহিদুল ইসলাম(২) ও এ্যাড.মিয়া নাজির আহমেদ। কোষাধ্যক্ষ ১টি পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- এ্যাড. তাপশ কুমার কুন্ডু, এ্যাড. মাহমুদুল হক চঞ্চল ও এ্যাড. এ, কে, এম ওয়াজেদুল ইসলাম খান (চাঁদ)। সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১টি পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। এরা হলেন-এ্যাড. আলতাফ হোসেন, এ্যাড.খন্দকার আবু শাহী মোঃ ইলিয়াস, এ্যাড.মোছাঃ সুলতানা বেগম মমো ও এ্যাড. মফিল উদ্দিন মন্ডল (মাফি)। দপ্তর সম্পাদক ১টি পদে বিপরীতে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন-এ্যাড.এস এম শাতিল মাহমুদ ও এ্যাড.আসলাম পারভেজ। সিনিয়র সদস্য ৪টি পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন-এ্যাড.মনজুর হোসেন, এ্যাড. আব্দুর রশিদ-২, এ্যাড. তানজিলুর রহমান এনাম, এ্যাড. কাজী সাইফুদ্দিন বাপ্পি, এ্যাড. আয়েশা সিদ্দিকা ও এ্যাড. আবু আজম। জুনিয়র সদস্য ৪টি পদে ৯জন প্রার্থীর মধ্যে এ্যাড.রাজিব আহসান তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৮জন প্রার্থী। এরা হলেন-এ্যাড. আকলিমা পারভীন, এ্যাড. আবুল হাসনাত মিন্টু, এ্যাড. আব্দুলাহ আল মামুন (মোহন), এ্যাড. আব্দুর রউফ, এ্যাড. তোজাম্মেল হক, এ্যাড. নুরুল ইসলাম নুরুল, এ্যাড. রোকনুজ্জামান ও এ্যাড. ইমরান হোসেন দোলন।
দৌলতপুরে কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতার ১৫তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতার ১৫তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার ফিলিপনগর পিএম কলেজ চত্বরে শহীদ ইয়াকুব আলীর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন দৌলতপুর জাসদের যুগ্মআহবায়ক শরিফুল কবীর স্বপনের নেতৃত্বে জাসদ নেতৃবৃন্দ, শহীদ ইয়াকুব আলী স্মৃতি সংসদ, জাসদ ছাত্রলীগ এবং পিএম কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে ফাতেহা পাঠ ও সংক্ষিপ্ত স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, দৌলতপুর জাসদের যুগ্মআহবায়ক শরিফুল কবীর স্বপন, শহীদ ইয়াকুব আলীর বড় ভাই লিয়াকত আলী ও সাংবাদিক খন্দকার আবুল কালাম আজাদ।
উলেখ্য ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাস বিরোধী এক জনসভায় চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নির্মমভাবে নিহত হন জাতীয় পতাকার রূপকার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও সমশের মন্ডল। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সে সময় দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়।