তাপস কুমার আত্রাই (নওগাঁ) : নওগাঁর আত্রাইয়ে অবাধে বিক্রয় হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। সকল প্রকার পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরও আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন অভিজাত শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাত হকার ও অভিজাত বিপনি বিতান গুলোতে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশেই পলিথিন ব্যবহার করেই চলেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশেষ করে মুদি দোকান, কাঁচা বাজার, মাছের বাজার সর্বত্রই নিষিদ্ধ ছোট, বড়, মাঝারি পলিথিন ব্যাগের ছড়াছড়ি। প্রকাশেই আইন ভঙ্গ করে ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীরা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য কে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। অথচ এসব দেখার যেন কেউ নেই। নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় প্রকাশেই অবাধে বিক্রয় করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে অপচনশীল এ দ্রব্যের ব্যবহারে আমাদের চারপাশ হয়ে উঠেছে বসবাসের অযোগ্য।
বাংলাদেশে প্রথম বারের মত ২০০২ সালের ১লা জানুয়ারী ঢাকা ও ১লা মার্চ সারাদেশে পলিথিনের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। পলিথিনের বহুল ব্যবহারের কারণে ১৯৯৮ সালের বন্যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০২ সালে নিষিদ্ধ হওয়ার পর জোড়ালো অভিযান ও আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে পলিথিনের ব্যবহার প্রায় শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু এর পর ২০০৬ সালের শেষের দিকে দেশের রাজনৈতিক পেক্ষাপট পরিবর্তনের সময় থেকে এ ব্যাপারে নজরদারি শিথিল হয়ে পড়ায় আবার দাপটের সাথে পলিথিনের আর্বিভাব ঘটে। পরিবেশ সংরক্ষন আইন (সংশোধিত) ২০০২ অনুয়ায়ী, এ আইন অমান্য করলে ১০ বছরের সশ্রম করাদন্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। এবং বাজারজাত করলে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে । কিন্তু বর্তমানে প্রকাশ্যে পলিথিন ব্যবহার করা হলেও এই আইনের কোন প্রয়োগ নেই। সমাজে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের সুষ্ঠ যথাযোক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশিষ্ট প্রশাসনের প্রতি সুশিল সমাজের আকুল আবেদন।
