ads

শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শার্শা ও ঝিকরগাছা : প্রার্থী মনোনয়নে জেলা কমিটিকে বলা হয়নি : কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪ ৪:১৪ অপরাহ্ণ

upa-zillaশার্শা ও ঝিকরগাছায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষিত , প্রার্থী মনোনয়নে জেলা কমিটিকে বলা হয়নি : কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল
ইয়ানুর রহমান  (যশোর) : শার্শা ও ঝিকরগাছায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত প্রতিফলিত হয়নি। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের যোগসাজসে এ দুই উপজেলার প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দু’এলাকায় যে দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাতে আসন্ন নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা অসম্ভব বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কারণ বরাবরই এরা  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করেছেন। এদিকে প্রার্থী মনোনয়নে জেলা কমিটিকে বলা হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন। যশোর থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় বলা হয়েছে, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার শার্শা উপজেলা নির্বাচনের আওয়ামীলীগ প্রাার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে শার্শা উপজেলার প্রার্থী মনোনিত করার আহবান জানান। কিন্ত এমন দায়িত্ব তাদেরকে কখনওই দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর চিঠির আলোকে আমাদের সিদ্ধান্ত। জেলা আওয়ামীলীগের এর তদারকি করবে। এমপিসহ সবাই বসে তৃণমূলের যে সিদ্ধান্ত হবে সেটাই চূড়ান্তপ্রার্থী। এই তৃণমূল হচ্ছে থানা আওয়ামীলীগ, ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদক, ওয়ার্ডের সভাপতি-সম্পাদক, পৌর কমিটির সভাপতি-সম্পাদক। এরা বসে যেটি করবে, ওটি হচ্ছে চূড়ান্ত।’ শার্শা উপজেলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘শার্শার ক্ষেত্রে তৃণমূল যা করবে ওটাই চূড়ান্ত। তিনি আরও বলেন, আলোচনা করবে, আলোচনায় যদি না হয় তবে তৃণমূল যেটি করবে সেটিই চূড়ান্ত হবে।’
জেলা কমিটিকে মনোনয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জনাব কামাল বলেন, ‘না এরকম কোন দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এটা জেলা কমিটির ব্যাপার। আমরা কোন দায়দায়িত্ব দেয়নি।’ প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে তিনি আবারও বলেন, ‘এটা তৃণমূলের ব্যাপার। জেলা কমিটি তদারকি করবে। এটা আপার (আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) চিঠিতেই বলা আছে।’
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, শার্শা আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দই জানতেন না মঙ্গলবার জেলা কমিটি তাদের উপজেলা প্রার্থী মনোয়ন করবে। তাদেরকে এ বিষয়ে কিছু না জানিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে প্রার্থী। এ ছাড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একাই কী করে প্রার্থী মনোনয়ন করেন সেটা নিয়েও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। দলের সভাপতি বা সহ-সভাপতি কেউ ওই সভায় ছিলেন কিনা জানেন না শার্শার কেউ। দলের একাধিক সহ-সভাপতি থাকলেও তাদের বাদ দিয়ে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের এ রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি সভায় সভাপতিত্ব করার বিষয়টি নিয়েও সাংগঠনিকভাবে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
শার্শা আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতা বলেছেন, তৃণমূলের কারও অভিমত নেয়া হয়নি তাদের উপজেলার প্রার্থী মনোনয়নে। যদি নেয়া হতো তবে সিদ্ধান্ত অন্যরকম হত। এক্ষেত্রে জেলা কমিটির কিছু নেতা যে কাজটি করেছেন তা স্পষ্ট দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশ অমান্য করে করা হয়েছে। শার্শার ক্ষেত্রে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে বলে ওই নেতাদের অভিমত। তারা বলেন, যেখানে একই দিন মঙ্গলবার বাঘারপাড়া উপজেলায় সংসদ সদস্যকে সাথে নিয়ে তৃণমূলের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রার্থী মনোনিত করা হল, সেখানে শার্শার ক্ষেত্রে কেন এমন একপেশে নীতি। তারা আরও বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন করেছিলেন। তাদের মনোনয়ন যে সঠিক ছিল তার প্রমাণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহেদী হাসানের কোন প্রতিদ্বন্ধী না থাকা। এছাড়া বিগত স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিকে সাথে নিয়ে যে প্রার্থী মনোনিত করেছিলেন দলীয় সিদ্ধান্তের আঙ্গিকে। তা যে সঠিক ছিল তা প্রমাণ করে বিতর্ক ছাড়াই ওই প্রার্থীদের বিজয়। শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ যখন সেখানে পরিকল্পিতভাবে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। সেই অবস্থায় জেলা কমিটির কতিপয় নেতার একক সিদ্ধান্ত শার্শায় আওয়ামীলীগের ওই দৃঢ় ভিত্তিতে ক্ষতি করা ছাড়া আর কোন ফল দেবে না বলেও দলটি স্থানীয় সক্রিয় নেতাকর্মীদের ধারণা।
শার্শা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক  আলহাজ্ব নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, যশোর জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক কর্তৃক স্ব উদ্যোগে ঘোষিত উপজেলা নির্বাচনের কথিত  প্রার্থীর সাথে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্বের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। দলের শার্শা উপজেলা সভাপতি-সম্পাদক, ১১টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সভাপতি/সম্পাদক ঘোষিত মতামতকে উপেক্ষা করে কথিত প্রার্থী হিসেবে  স্ব উদ্যোগে মিন্নুর নাম ঘোষনা করা হয়েছে। তাকে বয়কট করেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ঝিকরগাছার চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নেও একই অবস্থা। সেখানে সভানেত্রী শেখ হাসিনার চিঠির কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। কৌশলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতকে উপেক্ষা করে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃনমূলে। তারা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করছে প্রতিনিয়িত। তাদের দাবি, আসন্ন নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনতে একমাত্র মুছা মাহমুদ যোগ্য প্রার্থী। গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম । একারনে তার পক্ষে নেই তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সবাই একাট্টা হয়েছেন মুছা মাহমুদের পক্ষে। নাগরিক কমিটির ব্যানারে তার পক্ষে কাজ করছেন সবমহল।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!