ইমরান হোসাইন, তানোর : রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা যাতায়াতের রাস্তা তো নয় যেন মরণফাঁদ। এখানকার ওই পাকা রাস্তাটি বিগত তিন বছর ধরে ভেঙ্গে বিভিন্ন প্রকার গর্ত হয়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়লেও দেখার যেন কেউ নেই। তবে, এনিয়ে স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে দুই মাস আগে রাস্তাটি টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ আরাম্ভ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু উপজেলা সদরে প্রবেশের ক্ষেত্রে নয় জেলা শহরে প্রবেশ করতেও মুন্ডুমালা অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ একমাত্র এ রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকেন। ফলে এই রাস্তাটিই একমাত্র তাদের ভরসা। বর্তমানে রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা গর্ত আর ইটের সুরকি দিয়ে গর্ত ভরাট, পিচ ছাড়া এবং পিচ উঠে যাওয়ায় বেহাল অবস্থায় দৃশ্যমান হয়ে পড়েছে। ফলে রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন মারাতœক ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে করে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিগত প্রায় ৩ বছর যাবৎ এ অবস্থা চলতে থাকলেও সংস্কার হচ্ছে না রাস্তাটি। তারা অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান।
এলজিইডি অফিস সূত্র জানায়, শুধু মুন্ডুমালা রাস্তা নয়। তানোর এলজিইডি’র প্রায় ১৯৪টি যানবাহন চলাচলের রাস্তা রয়েছে। এরমধ্যে ১৪ থেকে ১৫টি রাস্তা পাকা করণ করা হয়েছে। বর্তমানে এসব রাস্তাগুলো সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। যান চলাচলের প্রায় অযোগ্য কোথাও ফাটল ধরেছে কোথাও পিচ উঠে মাটি বের হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই যে রাস্তাগুলো এক সময় পাকা ছিল।
পুরো উপজেলায় বিশেষ করে তানোর থেকে মুন্ডুমালা পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তা ও পাঁঠাকাটা মোড় থেকে দুবইল মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার আর কাশিম বাজার হতে চাঁন্দুড়িয়া ও বাগধানী হতে বায়া পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার ছাড়াও আজিজপুর-ভালকুকান্দর ৬ কিলোমিটার, পাঁচন্দর মোড় থেকে কাঁকনহাট পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার রাস্তাসহ উপজেলার প্রায় সব পাকা রাস্তার অধিকাংশই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া তানোরের অভ্যন্তরে বড় যানবাহন চলাচলের উপযোগী তেমন কোন সড়ক না থাকায় ওইসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষকে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এনিয়ে মুন্ডুমালা এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী রুবেল আহম্মেদ ও ভুটভুটি মাষ্টার সাদেকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তানোরে ১৯৯৬ সালের পর তানোর হতে মুন্ডুমালা যাতায়াতের পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়। এরপর থেকে বর্তমান সময়ে হাতে গনা দুই একটি রাস্তা নতুন করে পাকা করণ করা হলেও তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। যার ফলে রাস্তাগুলো সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। ওই সময় যে সকল রাস্তার উন্নয়ন ও পাকাকরণ করা হয়ে ছিল সেগুলোর অধিকাংশ সড়কের এখন বেহাল দশা। তারা অবিলম্বে রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা স্বিকার করে বলেন, তানোর হতে মুন্ডুমালা যাতায়াতের রাস্তাটি ইতোমধ্যে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ আরাম্ভ করবেন। তবে, বাঁকি রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।