শ্যামলবাংলা ডেস্ক : সব দলের অংশগ্রহণে অতি দ্রুত নির্বাচন না দিলে বন্দুকের জোরে সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে বিএনপি। ১৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোটারবিহীন নির্বাচন করে অতীতে কেউ ৫ মাসও টিকতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না।
এসময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গোটা বিশ্ব বলেছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। তারা সব দলের অংশগ্রহণে অতি দ্রুত নির্বাচন দিতে বলেছে।
নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় বসে সরকারের মন্ত্রীরা এখন নানা হুঙ্কার ছাড়ছেন- অভিযোগ তুলে মিজা ফখরুল বলেন, মন্ত্রীরা বলে বেড়াচ্ছেন, ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবেন। আমরা সরকারকে বলব, যা করেছেন- করেছেন। এখন দয়া করে সব দলের অংশ গ্রহণে অতিদ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। ইতিহাস বলে বন্দুকের জোরে দীর্ঘ সময় কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না।
‘
ভাষা আন্দোলন ও মওলানা ভাসানী’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ভাসানী স্মৃতি সংসদ। সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল হক মিলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাষাসংগ্রামী আবদুল মতিন, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হালিম, ভাসানী স্মৃতি সংসদের সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, নজমুল হক নান্নু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হুদা প্রমুখ।
মওলানা ভাসানীর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এই জনপদে তার মতো আর কোনো নেতৃত্ব এসেছে কি-না আমার জানা নেই। ভাসানী নিজেই এক প্রতিষ্ঠান, নিজেই একটি ইতিহাস। তার আদর্শের আলোকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, “১৯৭২-৭৫ সালের সঙ্গে আজকের অবস্থার আমি মিল খুঁজে পাই। তখন রাস্তার পাশে যুবকের লাশ পড়ে থাকত, গুম করা হতো বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের। এখন দেশে একই অবস্থা বিরাজ করছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ারে হত্যা করা হচ্ছে। গুমের পর গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। আজ গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের ওপরও ওই সময়ের মতো এখন একই ধরনের দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।