স্টাফ রিপোর্টার : প্রাচীন শেরপুর শহরের গোপাল জিউর মন্দির চত্বরে ২৪ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীণ লীলাকীর্ত্তন ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। এদিন মহাপ্রভুর ভোগ নিবেদন শেষে মহোৎসবে প্রায় ৬ হাজার ভক্ত পূন্যার্থীকে মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত করা হয়। শতবর্ষের প্রাচীন শেরপুর শহরের গোপাল জিউর মন্দির আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর আদলে পুনর্নিমাণ শেষে উদ্বোধন ও বিগ্রহ পূনঃস্থাপন উপলক্ষে মন্দির চত্বরে এসব অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। শেরপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, গোলাপ জিউর মন্দির পরিচালনা কমিটি যৌথভাবে ওইসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে হরিনাম সংকীর্ত্তন পরিবেশন করে ফরিদপুর জেলার প্রভুপাদ সম্প্রদায়, ব্রজকিশোর সম্প্রদায়, মাদারীপুরের মুক্তিলতা সম্প্রদায়, সুধারাম সম্প্রদায়, খুলনার মা ভবতারিণী সম্প্রদায়, বরিশালের গোড়াচাঁদ সম্প্রদায় ও শ্রীবরদীর নব গৌরহরি সম্পদায়। লীলা কীর্ত্তনীয়া ছিলেন পাবনার অধ্যাপক মিহির ঘোষ, যশোরের উত্তমানন্দ দাস ও সাতক্ষীরার শ্রীমতি কৃষ্ণা পাল। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য ও সাধারন সম্পাদক কানু চন্দ জানান, প্রতিদিন জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকার বিপুল সংখ্যক পুরুষ-মহিলা মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীণ লীলাকীর্ত্তনে উপস্থিত হয়ে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করেন।