মাহফুজার রহমান মনু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আবুনুর মোঃ আক্তারুজ্জামান ও বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল হাশেম এর কর্মীরা গতকাল সকালে সদর ইউপি’র হরিশ্বর তালুক বাজারের একটি চায়ের দোকানে উভয় প্রার্থীর কর্মীরা তার নিজ নিজ প্রার্থীর জয় লাভ করবে মর্মে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এরই এক পর্যায়ে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী রতন (২৩) এর নেতৃত্বে রতনের পিতা আবদুল মিয়া, রতনের ভাই ফরিদ (১৮), আজিরন (৪০), ফিরোজা (৫৫), ফিরোজ (২৮)সহ ৮/১০ জনের একদল সন্ত্রাসী চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, দা, বটিসহ আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী মাজাহুর (৩০), জমির উদ্দিন (২৭), হাশেম (৫০), জাবেদ (২৮), শরিফা (২৫), রানা (১৮) এর উপর উপর্যুপরি হামলা করে। এতে মাজাহুর গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম হাসান সরদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে রতনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি চাপাতি, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দু’যুবক ফরিদ (১৮) ও মিজানুর রহমান ওরফে সাদ্দাম (২০) কে স্থানীয়রা উত্তম-মাধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজিত জনতা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপজেলা যুবদলের সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে প্রশাসনের নিকট। ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসী হরিশ্বর বাজারে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে কয়েক দফা মিছিল সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম হাসান সরদার বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই আমি নিজে পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়েছি এবং আটককৃত দু’যুবক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হলে বাকী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান জোরদার করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজারহাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।