ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়ায় সোমবার দুপুর সাড়ে ৩ টায় উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে জমিজমার মালিকানা দাবী নিয়ে দুর্বৃত্তরা পিতা-পুত্রকে হাতুড়ি ও গরানের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। আহত দুই জনকে প্রথমে ডুমুরিয়া হাসপাতালে ও সন্ধ্যায় আশংক জনক অবস্থায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, ডুমুরিয়া সদর এলাকায় বাসিন্দা মোফাজ্জেল হোসেন (মুহুরী) তার গুণ ধর পুত্র ডুমুরিয়ায় যুবলীগ পরিচয় দানকারী সোহেল রানা (২৫) সে নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় ও স্থানীয় (এমপি) মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দের নাম ভাঙিয়ে স¤প্রতি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যেয়ে ব্যাপক হারে দালালী শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার স্থানীয় সেটেলমেন্ট অফিসে যেয়ে প্র্রভাব খাটিয়ে একটি জমির রায় নেয়ার জন্য চেষ্টা করে। এ ঘটনায় সোহেলের প্রতিপক্ষ সামছুর রহমান মোলা (৫২) ও তার ছেলে শাহেদ ইমতিয়াজ রানা এ সময় তার প্রতিবাদ জানিয়ে পিতা ও পুত্র নিজেস্ব মটর সাইকেল যোগে ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন। এ সময় ত্রাস সোহেল রানা হাতুড়ি ও গরানের লাঠি সহকারে তার দলবল নিয়ে ডুমুরিয়া বাস ষ্ট্যান্ডের উত্তর পাশে মসজিদের সামনে ফেলে পিতা ও পুত্রকে কিল, ঘুষি, হাঁতুড়ি ও গরানের লাঠি দিয়ে বেঁধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে গুরুতর আহতসহ তাদের মটর সাইকেলটি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় স্থানীয় ‘প্রথম আলো’ সাংবাদিক ওই পিটানোর দৃশ্য ধারণ করতে গেলে তার ওপর চড়াও হয়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
পরে ওই সাংবাদিকসহ স্থানীয় লোকজন আহত ২ জনকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ডুমুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় তাদের অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে খবর লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ডুমুরিয়া থানার ওসি শাহ্ মোঃ আওলাদ হোসেন জানান, মারামারি ঘটনাটি আমি জেনেছি। তবে মামলার জন্য কেউ থানায় আসেনি। মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপর দিকে মারামারির সময় ছবি ধারণের সময় সাংবাদিক কাজী আব্দুলাহকে সন্ত্রাসীরা দেখে নেয়ার হুমকির ঘটনাটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডুমুরিয়া প্রেস ক্লাবের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ।