কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দূর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আনারকলি মাহবুব।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মর্ডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, কুষ্টিয়ার আরডিসি শিহাব রায়হান,বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন, দূর্নীতি দুমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও দূর্নীতি দুমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়ার সমন্বয়কারী আঃ গাফফার, দূর্নীতি দুমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়া’র সহ-সভাপতি এস এম কাদেরী শাকিল, কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম সাইয়্যেদুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক আবুল কালাম সাঈদ, আশিকুজ্জামান, কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আনারকলি মাহবুব বলেন, দূর্নীতি আমদের জন্য কলঙ্ক। এদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে গিয়েও তারা এই দূর্নীতির কারনে সামনের দিকে এগোতে পারেনা। আর এই কলঙ্ক থেকে বাঁচতে হলে সকলের মাঝে দূর্নীতি থেকে সরে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরায় আগামী ভবিষৎ । আগামী প্রজন্ম তোমাদের মননে মেধায় ভবিষ্যৎ উজ্জল হবে যদি তোমরা এই দূর্নীতি থেকে দূরে সরে থাকো। এই দূর্নীত থেকে নিজে এবং অপরকে সরে আসার জন্য এখন থেকেই তোমরা কাজ করবে।
দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কুষ্টিয়ার আয়োজনে এ বিতর্কে “দারিদ্র বিমোচনে ও কর্মসংস্থানের বিকাশের ক্ষেত্রে দূর্নীতিই প্রধান অন্তরায়” বিষয়ের উপর এ বিতর্ক প্রতিযোগীতায় কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চূয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা এ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে।
কুষ্টিয়ার মিরপুরে দেড় কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস
কুষ্টিয়ার মিরপুরে ৩২বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধবংস করেছে বিজিবি। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের মূল্য ১কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৭শ’ ৫০ টাকা।মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুর বিজিবি সেক্টরে কুষ্টিয়ার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম জামাল আহমেদের উপস্থিতিতে বিপুল পরিমান এ মাদক ধ্বংস করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৩২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর তারেক মাহমুদ সরকার, ৩২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত পরিচালক মেহেদী হাসানসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিলো ৮৭ হাজার ৫শ’ কেজি গাঁজা, ১৪ হাজার ৫শ’২২ বোতল ফেনসিডিল, ৬ হাজার ২শ’ ৪২ বোতল বিদেশী মদ, ১৪ লিটার দেশী মদ, ১৫বোতল বাংলাদেশী ¯প্রীট, ১০ গ্রাম হেরোইন, ৫শ’২০ গ্রাম হেরোইন সাদৃশ্য পাউডার।