তাপস কুমার, আত্রাই (নওগাঁ) : আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় বিএনপির দু’পক্ষ আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপির দু’পক্ষ নিজেদের বৈধ কমিটি দাবি করে নির্বাচনে নিজেদের বিজয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছে। তবে সাধারণ কর্মী সমর্থকরা দলের বিভাজনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, কমিটি গঠন নিয়ে উপজেলা বিএনপি বিভক্ত হয়ে পড়ে। গত ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারী এসএম রেজাউল ইসলামকে সভাপতি ও এমদাদুল হক কে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিকে পকেট কমিটি হিসাবে আখ্যায়িত করে তছলিম উদ্দিনকে সভাপতি ও আবুল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে পাল্টা আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। তখন থেকে স্থানীয় বিএনপি বিভক্ত হয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচী পালন করে আসছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে উভয় পক্ষ আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। একাংশের সভাপতি তছলিম উদ্দিন তার পক্ষের প্রার্থী হিসাবে সাবেক উপজেলা সভাপতি এড.মোল্লা মাহমুদুর রহমান রজার কে মনোয়ন দিয়েছেন। অপর অংশের সভাপতি রেজাউল ইসলামের পক্ষের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন এমদাদুল হক পিন্টু, রেজাউল ইসলাম ও আব্দুল হাকিম। তবে দলের এ অংশের একক প্রার্থী হিসাবে উপজেলা সভাপতি রেজাউল ইসলাম কে সমর্থন করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দলীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ অংশের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পিন্টু জানান, তারা ১১ ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিবেন। তারা উপজেলা সভাপতি রেজাউল ইসলামের পক্ষে কাজ করবেন। মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর থেকে উভয় পক্ষের প্রার্থীরা প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। মাহমুদুর রহমান জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে তিনি প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। তার পক্ষে স্থানীয় বিএনপির বড় অংশ ছাড়াও সাধারণ লোকজন রয়েছে বলে দাবি করেন। এ পক্ষের সভাপতি তছলিম উদ্দিন জানান, আলাদা আলাদা প্রার্থী দেওয়া ও সাংগঠনিক কর্মসূচী পালনের কথা স্বীকার করে বলেছেন, তাদের গঠিত কমিটিই বৈধ। তবে অপর অংশের সভাপতি রেজাউল ইসলাম জানান, দল তাকে একক প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য তিনি প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। দলের অপর অংশ সর্ম্পকে সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক দাবি করেন, তাদের কমিটি বৈধ ও অনুমোদিত। তবে আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দেওয়া ও দলীয় কর্মসূচী পালনের কথা তিনিও শিকার করেছেন। সাধারণ নেতাকর্মীরা দু পক্ষের আলাদা প্রার্থী দেওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দুই পক্ষকে এক করে একক প্রার্থীর দাবি করেন। পাঁচুপুর ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী মাসুদ রানা, আহসানগঞ্জের মোবারক হোসেনসহ অনেক কর্মী সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, র্দুদিনেও দল এক হতে পারলনা। এর মাশুল নেতাদেরই দিতে হবে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জানান, আত্রাইয়ে কাউকে এখনো দলীয় প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
