পাবনা প্রতিনিধি : প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দু‘টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুদক।
রোববার রাতে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনার উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় এই ২টি মামলা করেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে এলজিইডি পাবনার অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী বর্তমানে এলজিইডি বরিশালের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, সাবেক হিসাব সহকারী পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো: মাসুদ রানা ও পাবনা অফিসের সাবেক সোসিওলজিষ্ট ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ গ্রামের মৃত শামসুল হকের মেয়ে মোছা: তাজুন্নাহার পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশ করে রুরাল এমপ্ল¬য়মেন্ট এন্ড রোড মেন্টেইনেন্স প্রোগ্রাম (আরইআরএমপি) প্রকল্পে নিয়োজিত মহিলা কর্মীদের সঞ্চয়ের ৫১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং সোনালী ব্যাংক জেলা বোর্ড শাখার এসটিডি-৩৫ নম্বর একাউন্ট থেকে বিভিন্ন সময় ৯টি চেক ও এ্যাডভাইসের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৮১ লাখ ৯৩ হাজার ২৪০ টাকা উত্তোলন করে সর্বমোট ১ কোটি ৩৩ লাখ ২৪০ টাকা আত্মসাত করা করে। দীর্ঘ দুই বছর অনুস্ধানের পর ৯ ফেব্র“য়ারি দন্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৫৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ ২নং আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২৩ ও ২৪, তারিখ ৯/২/২০১৪ইং। মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, এলজিইডি পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী বর্তমানে এলজিইডি বরিশালের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, সাবেক হিসাব সহকারী পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো: মাসুদ রানা ও পাবনা অফিসের সাবেক সোসিওলজিষ্ট ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ গ্রামের মৃত শামসুল হকের মেয়ে মোছা: তাজুন্নাহার।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী হানিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে মঙ্গলবার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।