শ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বরেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ৫ জানুযারির নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করতে সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে সুসংহত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে যেকোন হুমকি মোকাবেলায় সর্বদা সজাগ ও প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি ৯ ফেব্রুয়ারী রবিবার সকালে সেনাসদরে জেনারেলদের সভায় ওই কথা বলেন।
এসময় তিনি সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা সম্মুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের তাদের অধঃস্তনদের সামনে নৈতিকতা, সততা ও কর্তব্যপরায়নতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে হবে।
একটি দক্ষ, আধুনিক ও শক্তিশালী সশস্ত্রবাহিনী গঠনে সরকারের সদিচ্ছা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখনই সরকার গঠন করেছি তখনই সশস্ত্রবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে, সশস্ত্র বাহিনীর যতো উলেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই হয়েছে।
সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি যুক্ত হওয়ায় তাতে শুধু সমর শক্তিই বাড়েনি, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা সদস্যদের পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে তা সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া, চীন ও সার্বিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জামাদি কেনার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনা সদস্যদের জন্য ৮৩৬টি বাসস্থান নির্মাণ করা হয়েছে। এর বাইরে ৪৫০ জনের ধারণক্ষমতার ৪ টি অফিসার্স মেস নির্মাণ হচ্ছে। এছাড়া এক হাজার ৩শ ৮০ জন সেনাসদস্যের জন্য মেস ও এসএম ব্যারাক নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্য নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পও তুলে ধরেন তিনি।
রানা প্লাজা, তাজরীন গার্মেন্টস এবং চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভার দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের কথা উলেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি কেনা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানসহ সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।