আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘির মিতইল গ্রামে বিষপানে মা ও মেয়ের এক সাথে মৃত্যর ঘটনা স্ত্রী লাকিকে মুসলিম বিধান মতে দাফন এবং তার মেয়ে সঞ্চিতাকে হিন্দু ধর্মমতে দাহ করা হয়েছে। দুই জনের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার ভোরে উপজেলার মিতইল গ্রামে এ সব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উলেখ্য, মিতইল গ্রামের গৌতম বর্মন ৭ বছর পূর্বে সে গাজিপুরে একটি গামের্ন্টেসে চাকুরী করা কালে চাকুরীরত গাইবান্দা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোর গ্রামের লাকির সাথে পরিচয়ের পর প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠায় তাকে পালিয়ে নিয়ে বাড়ী আসে। এরপর থেকে হিন্দু কিংবা মুসলিম বিধান মতে বিয়ে না করেই গ্রামে স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করতো। ১ বছর পর তাদের একটি মেয়ে জন্ম হয়। মেয়ের নাম রাখে সঞ্চিতারানী বর্মন। গত ৬ ফেব্রæয়ারী দুপুরে গৌতম বর্মনের কথিত স্ত্রী লাকি ও কন্যা সঞ্চিতা একই সাথে বিষপানে মারা যায়। এরপর পুলিশ লাশ দুইটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে। এদিকে মৃত লাকির অভিভাবকরা না দাবী করায় ময়নাতদন্ত শেষে লাকিকে মুসলিম বিধান মতে দাফন ও কন্যা সঞ্চিতাকে দাহ করা হয়।
আদমদীঘিতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২২ দিনে ১০২ জন গ্রেফতার
বগুড়ার আদমদীঘি থানা পুলিশ গত ২২ দিনে বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিয়মিত মামলা, মাদক সেবন. বহন বিস্ফোরক আইনে, খুন, অনৈতিক কার্যকলাপ মোটর সাইকেল ছিনতাই এবং ওয়ারেন্টমুলে সহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগে ১০২ জনকে গ্রেফতার করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে এ সব অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানান গত ১৯ জানুয়ারী থেকে গত ৮ ফেব্রæয়ারী রাতে আক্কেলপুরের আব্দুল্লাপুরের বাবলু, আব্দুস ছালাম, আদমদীঘির পাথরকুঠার জাহিদ হাসান, রুহুল আমিন, কাশিমালার রাসেল, কোমারপুরের মিলন মন্ডল, রাজু আহম্মেদ ও মিলন সহ এ পর্যন্ত ১০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে কিছু মাদক সেবী ও ইভটিংজারদের ভ্রাম্যমান আদালতে ও অপরদের আদালতে প্রেরন করা হয়। এ দিকে ছিনতাইকারী সহ মাদক দ্রব্য সেবন ও বহনকারীরা গ্রেফতার হওয়ায় মাদকের প্রসার সহ রাস্তায় ছিনতাইয়ের ছিচকে চুরি সহ অপরাধ প্রবনতা কমতে শুরু করলেও পুলিশের অব্যাহত অভিযানে মুল অপরাধীরা এখন অনেকেই আতœগোপনের রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।