নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা : মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরার বিভিন্ন মৎস প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এল্লারচর এলাকায় ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাতক্ষীরায় মানসম্মত মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে মৎস্য স্থাপনা পূর্নস্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। সেখানে একটি মিষ্টি পানির কার্প জাতীয় মৎস্য হ্যাচারী ও গলদা ট্রেনিং সেন্টার কাজের অগ্রগতী ঘুরে ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন মৎস হ্যাচারী পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়র শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের স্থাপনা বিভাগের প্রকল্প পরিচালক জাকির হোসেন, অধিদপ্তরের অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার, সাতক্ষীরা মৎস কর্মকর্তা আব্দুল অদুদ, সাতক্ষীরা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শিশির কুমার বিশ্বাস প্রমূখ।

সাতক্ষীরার মাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম-প্রহরী পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরায় ভূয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়সের সনদ দিয়ে সম্পূর্ন অনিয়মের মাধ্যমে জেলার তালা উপজেলার মাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম-প্রহরী পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নিয়োগপ্রার্থী তালা উপজেলার মাদরা গ্রামের অরবিন্দু মন্ডলের ছেলে বাবু লাল মন্ডল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাবু লাল মন্ডল বলেন, তালা উপজেলার ৪১ নং মাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম-প্রহরী নিয়োগের জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর-১৩ তারিখে পার্শ্ববর্তী মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্ত গত চার মাস পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার আনুষ্ঠানিক কোন ফলাফল ঘোষনা করা হয়নি। আমরা বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারলাম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমল রায় ভূয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়সের সনদ দেখিয়ে সম্পূর্ন অনিয়মের মাধ্যমে তার আপন ভাইপো মাদরা গ্রামের শ্যামল রায়ের ছেলে সুুমন রায়কে ওই পদে নিয়োগ প্রদানের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সুমন রায় সর্ম্পকে প্রধান শিক্ষক অমল রায়ের আপন ভাইপো। অপ্রাপ্ত বয়সী সুমন রায় পঞ্চম শ্রেনী পাশ না হওয়া স্বত্বেও প্রধান শিক্ষক নিজে তার জন্য ভূয়া অষ্টম শ্রেনী পাশ ও ১৮ বছর বয়সের সনদ ম্যানেজ করে তাকে দিয়ে আবেদন করান। একই সাথে তাকে চাকুরিতে নিয়োগ দেয়ার কৌশল হিসাবে আপন খুড়তুতো ভাই গোপাল রায় (এমএ) এবং ভাগ্নে অরুপ মন্ডলকে (মাষ্টার্সে অধ্যায়নরত) দিয়ে দরখাস্ত করান। অধিকন্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব হয়ে অন্যান্য সদস্যদের উপর অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নিজের ভাইপো সুমন রায়, ভাই গোপাল চন্দ্র রায় এবং ভাগ্নে অরুপ মন্ডলের অনুক‚লে বেশি নম্বর দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিধি অনুযায়ী নিকট আত্মীয় প্রার্থী হলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সভাপতি বা সদস্য সচিব থাকতে পারেন না।
বাবু লাল মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, নিয়োগে অনিয়ম, দূর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রভৃতি বরাবর আবেদন করলেও কেউ তদন্তের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) জরুরী ভিত্তিতে তদনেÍ ব্যবস্থা করবেন। কিন্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভিষয়টি অবহিত না করইে তিনি নিজেই তদন্ত করছেন।
তিনি নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক সুমন রায়ের প্রার্থীতা বাতিল পূর্বক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দূর্নীতির সাথে জড়িত প্রধান শিক্ষককে চাকুরি থেকে অব্যহতি ও দূর্নীতিগ্রস্থ নিয়োগবোর্ড বাতিল করে পুনরায় নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন
