কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিদ্রোহী প্রার্থী আতঙ্কে ভূগছে মহাজোট। অন্যদিকে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের একক প্রার্থী ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে অংশগ্রহনেচ্ছুক আওয়ামী লীগের তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
এদের মধ্যে কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারনী কমিটির বৈঠকে দলের সভাপতি আব্দুল মান্নান খানকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ উক্ত সিদ্ধান্তে সম্মতি দিলেও দলের কিছু সংখ্যক নেতৃবৃন্দ কোন মতেই তা মান্য করছেনা। দলের সভাপতির বিরুদ্ধে একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং আরেকজন জেলা যুবলীগ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। আর তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ও জেলা যুবলীগের যুগ্ন- আহবায়ক এবং স্থানীয় কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপন। দলীয় একক প্রার্থী চুড়ান্ত করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কুষ্টিয়া সফরে এসে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেন। তা সত্বেও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে দলীয় প্রার্থীর সমন্বয় এবং সম্পর্কের উন্নতি হয়নি বলে জানাগেছে। যদিও ৫ই জানুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট অংশগ্রহণ করেনি। তবে এবারের নির্বাচনকে তারা মর্যাদার লড়াই বলেই ধরে নিয়েছে। আর তাই তারা একক প্রার্থী চুড়ান্ত করে ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। এবারে ১৯ দলীয় জোটের একক প্রার্থী হিসাবে কুমারখালী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নূরুল ইসলাম আনছার প্রামানিককে চুড়ান্ত করা হয়েছে। দলীয় প্রার্থী হিসাবে চুড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি দলটির নেতৃবৃন্দ সহ নির্বাচনী কর্মীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে যাচ্ছেন। এমনকি ইতোমধ্যেই তারা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বহু সংখ্যক নারী নির্বাচনী কর্মীকে মাঠে নামিয়েছেন বলে জানাগেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগে দলীয় অভ্যন্তরীন দ্ব›েদ্বর কারণে এখনো পর্যন্ত নির্বাচনী কর্মীদের সাথেও কোন প্রকার বৈঠক পর্যন্ত করতে পারেনি। সে কারণে এবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি হারাতে হতে পারে। দলীয় বিশ্বস্থ একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফরের ভাই কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনকে সু-কৌশলে প্রার্থী করানো হয়েছে। কারণ হিসাবে ওই সূত্রটি দাবী করেন, ৫ই ফেব্র“য়ারীর নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেছে। তবুও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) বিজয়ী হয়। তাই এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছে একটি মহল। আর এই কোন্দল নিরসন না হলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর ভরাডুবি নিশ্চিত বলে মন্তব্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের।